রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪
একটু দেশের ভেতরে কতজন মানুষ জন্মগ্রহণ করছে অথবা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় কতজন শিশু নতুনভাবে জন্মগ্রহণ করছে তাদের তথ্য সংরক্ষণ করাটাই স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শুধু যে জন্ম সংক্রান্ত কাজ করবে তা নয় বরং সেই এলাকার ভেতরে কতজন মানুষ মৃত্যুবরণ করছে সেটার একটা নির্দিষ্ট হিসাব রাখতে কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাই আপনারা যখন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে চাইবেন তখন সরকারিভাবে যে নীতিমালা অথবা আইন পাস করা হয়েছে সেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
আপনারা যখন পরিবারের কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করার পর ৪৫ দিনের ভেতরে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য নিবন্ধন করবেন তখন সেটা যেমন সম্পূর্ন বিনামূল্যে করতে পারবেন তেমনিভাবে টিকা কার্ড এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট সাথে থাকার কারণে খুব দ্রুত এটা করা যাবে। জন্ম নিবন্ধন সনদের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ের অভিভাবক যেমন বুঝতে পারছেন তেমনিভাবে তাদেরও জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত যাবতীয় ধরনের ঝামেলা নিষ্পত্তি করে ফেলছেন।
তাই আপনি যখন জন্ম নিবন্ধন সনদ আইন ২০০৪ সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে চাইবেন তখন এই নীতিমালা ও আইন কি পাস করা হয়েছিল তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে তাদের নিতে পারছেন। জন্ম নিবন্ধন সনদ আইন জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী আপনারা তথ্য নিবন্ধন করতে পারলে আশা করি প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার সুযোগ পাবেন। দৈনন্দিন জীবনে এ সকল আইন জেনে নিতে পারলে অথবা এ সকল নিয়ম সম্পর্কে একজন সাধারণ জনগণ অবগত হতে পারলে তাদের জন্যই বরং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮ সালে সর্বশেষ যে আপডেট করা হয়েছিল সেটা অনুযায়ী আমরা কি কি তথ্য জানতে পেরেছি সেটাও কিন্তু আমাদের জানা প্রয়োজন রয়েছে। অতীতের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কার্যক্রম হাতে লিখে অথবা অফলাইনে করা হতে বলে সেজন্য আমাদেরকে সরাসরি গিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হত। এক্ষেত্রে আপনারা আপনাদের অবস্থান অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশনে যে দায়িত্ব কর্মকর্তা রয়েছে অথবা যারা নিবন্ধনের কাজগুলো করে থাকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।
আর তারা আপনাদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কার্যক্রম করে দিত এবং তারা অনলাইনের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করত। কিন্তু এভাবে ভুল ভ্রান্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় ঘটতে থাকে বলে পরবর্তীতে প্রত্যেকটি গ্রাহক যেন সঠিকভাবে এই তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করতে পারে তার জন্য সঠিকভাবে ওয়েবসাইটে সকলকে প্রবেশের অধিকার প্রদান করা হয়ে থাকে। জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে একজন সাধারণ জনগণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অনলাইনে সেটা আবেদন করবে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে সেটা প্রদান করবেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদের বর্তমান সময়ে যে আইন পাস করা হয়েছে তাতে করে প্রত্যেকটি জনগণকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার ক্ষেত্রে তাকে আসলে কি কি তথ্য দিতে হবে অথবা কোন তথ্যগুলো বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অপশনাল তথ্যের ক্ষেত্রে আপনারা অপশনাল গুলো ব্যবহার করতে পারেন অথবা সেগুলো এড়িয়ে চলে যেতে পারেন। সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন থেকে তথ্য সংশোধন অথবা যেকোনো ধরনের কাজের জন্য ওয়েবসাইটে যে সকল ফরম আসে সেগুলো আপনাদেরকে পূরণ করতে হবে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নির্দেশিকা ২০২১
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের তথ্য নিবন্ধন করতে গিয়ে অনেকেই অনেক ভুলভ্রান্তি করে থাকতেন বলে এটার বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা আসছে। সুতরাং নতুন ভাবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের নির্দেশিকা পড়ে নিতে পারলে আশা করি কোথাও কোন ভুল ভ্রান্তি হবে না এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনারা অরজিনাল ডকুমেন্টস চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সহ পেয়ে যাবেন। তবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নির্দেশিকা কি এবং ২০২১ সালে সেগুলো কিভাবে পাশ করা হয়েছে তা আপনাদের সামনে আমরা এখানে তুলে ধরছি। অর্থাৎ এখানকার এই তথ্যগুলো পড়লে আপনারা আশা করি প্রত্যেকটি তথ্য সম্পর্কে অবগত হয়ে বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।
সাধারণ জনগণ হিসেবে আমরা যে সকল কাগজপত্র আপলোড করিনা অথবা তথ্য নিবন্ধন এর সময় যেগুলো ভুলভ্রান্তি করে থাকে সেগুলো যদি আমরা প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে সঠিকভাবে জেনে নিতে পারি তাহলে আশা করি আমাদের জন্য তা ভালো হবে। একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে সন্তান জন্মগ্রহণের ৪৫ দিনের ভেতরে আপনারা যদি তথ্যগুলো নিবন্ধন করতে পারেন তাহলে প্রত্যেকটি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য অবলম্বন করা সম্ভব হবে। ঠিক একই ভাবে একজন ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তার মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পেতে হলেও খুব দ্রুত কাজগুলো করতে হবে।
অনেক সময় মৃত্যু নিবন্ধন সনদের উপর নির্ভর করে সেই ব্যক্তির স্থাবর অস্থাবর এর বিষয়গুলো উঠে আসে। ব্যাংকিং সেক্টরে কত টাকা লেনদেন করেছেন অথবা কত টাকা জমা আছে সে বিষয়গুলো উত্তোলন করার ক্ষেত্রেও কিন্তু মৃত্যু নিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রত্যেকটা পয়েন্ট আপনাদের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়ে থাকলেও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কে সঠিকভাবে আলোচনা খুব কম করা হয়েছে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা যে বিষয়গুলো এখানে উপস্থাপন করছি সেগুলো পড়ে নিয়ে যদি সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলে এটা আপনাদের জন্যই ফলপ্র ভূমিকা রাখবে।
কর্তৃপক্ষ যে দিকনির্দেশনা মেনে চলতে বলেছেন সেগুলো কিন্তু আমাদের জন্যই ভালো করে বলেছেন। জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পাওয়ার জন্য আমরা এলাকাভিত্তিক যে কম্পিউটার অপারেটরের দোকান রয়েছে অথবা যারা অনলাইন সার্ভিস প্রদান করে তাদের কাছে গিয়ে থাকে। এ দিক নির্দেশনা পড়ে নিয়ে আপনারা চাইলে কিন্তু নিজেরাও ঘরে বসে তা পূরণ করতে পারবেন। তবে যাই হোক জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মৃত্যু নিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য অবলম্বন করা উচিত যাতে করে কোথাও কোনো ভুল ভ্রান্তি না হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন FAQ
জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মৃত্যু নিবন্ধন সনদের বিধিমালা, দিকনির্দেশনা এবং আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ম আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়ে থাকলেও আপনারা কিন্তু সে বিষয়গুলো অনেক সময় পড়ে বুঝতে পারেন না। তাই আপনাদের মনের ভেতরে থেকে যায় বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন। আর আপনারা যখন বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে চাইবেন তখন সেখানে প্রশ্ন করার অপশন না থাকলেও আপনাদের মনের ভেতরে অথবা আপনারা কি ধরনের প্রশ্ন করতে চান সেগুলোর উত্তর নিয়ে কিন্তু একটি আলাদা অপশন চালু করা হয়েছে।
অর্থাৎ আপনারা bdris.gov.bd এর official website ভিজিট করতে পারলেই সেখানে আপনারা মেনু অপশন থেকে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন অপশনে যেতে পারবেন। অর্থাৎ সেখানে গেলে আপনারা বেশ কিছু প্রশ্ন এবং তার সাথে সাথে সুন্দরভাবে উত্তরগুলো পেয়ে যাবেন এবং সেগুলো বুঝতে পারবেন। এই সেক্টর থেকে আপনারা প্রত্যেকটি বিষয় সঠিকভাবে জেনে নিবেন যাতে করে আপনাদের কোন ধরনের ভুলভ্রান্তি না হয় অথবা আপনারা সঠিক কথা অবলম্বন করতে পারেন।
সাধারণ জনগণ আবেদন করার সময় অথবা অরিজিনাল ডকুমেন্টস উত্তোলন করার সময় অথবা কতদিন সময় লাগতে পারে এ বিষয়গুলো জানে না বলে সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন না। আর সেই জন্য আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এই প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন অংশ এখানে তুলে ধরছি। ফলে এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা কমন কিছু বিষয় তুলে ধরার ফলে বুঝতে পারছেন এবং সেগুলো জেনে নিতে পারছেন।
আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা জন্ম নিবন্ধন সনদের আইন ২০০৪ থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে যে ধরনের প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসিত হয়ে থাকে এবং যে ধরনের সমস্যায় আপনারা পড়ে থাকেন সেগুলো সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি। তারপরেও আপনারা ব্যক্তিগতভাবে কোন প্রশ্ন করতে চাইলে এই প্রশ্নোত্তর পর্বের তথ্য জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আমাদের কমেন্ট সেকশনে আপনাদের মতামত থেকে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।