জন্ম নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড 2023 pdf ছবি

জন্ম নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড 2023 pdf ছবি

জন্ম নিবন্ধন ফরম ২০২৩ সালে কেউ যদি এসে ডাউনলোড করতে চায় তাহলে সর্বপ্রথমে আগে তাকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফরম পূরণ করতে হবে। সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত কোনো ধরনের আবেদন যদি করে থাকেন এবং সেখানে যদি তথ্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার মাধ্যমে সফলভাবে এটা সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আবেদন ফরম ডাউনলোড করার সুযোগ প্রদান করা হবে।

যেহেতু তথ্য নিবন্ধন এর মাধ্যমে আমরা জন্ম নিবন্ধন সনদের অরিজিনাল ডকুমেন্ট সাথে পেয়ে থাকি সেহেতু আমাদেরকে অনলাইনের মাধ্যমেই এখনকার নিয়ম অনুযায়ী আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তাই নতুন তথ্য নিবন্ধনের আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল আকারে ২০২৩ সালে কোন নিয়ম অনুসরণ করে ডাউনলোড করা যাবে তা আপনাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। আপনারা যেহেতু এই পোস্ট ভিজিট করেছেন সেহেতু এখান থেকেই এই তথ্য জেনে নিবেন এবং এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিয়ে সেটা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিবেন।

জন্ম নিবন্ধন ফরম কোথায় পাবেন

প্রথম দিকে যখন থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজ শুরু হয় তখন এটার ফাঁকা ফর্ম সকলের হাতে দিয়ে দেওয়া হলেই তারা নিজেদের মতো করে তথ্য পূরণ করে নিতে পেরেছে। পরবর্তীতে এ সকল বিষয় বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা মেনে চলা হয় যাতে করে কারো তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন না পড়ে। আপনার স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য রয়েছে এবং একটা নিবন্ধন বহিতে সেই তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। কিন্তু দিনে দিনে এই নিবন্ধন বহিতে তথ্য গুলো বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবং এগুলো সংরক্ষণ করার বিষয়ের কারণে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্য গুলো লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।

কারণ নিবন্ধন বই থেকে আপনি যদি কোন ধরনের তথ্য খুঁজে পেতে চান তাহলে সেখানে আপনাকে অনেক সময় নষ্ট করতে হবে। কিন্তু ওয়েবসাইটে যখন তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে তখন নির্দিষ্ট কিছু ইনপুট দেওয়ার ভিত্তিতে আপনাকে তথ্যগুলো প্রদর্শন করানো হবে। তাই বর্তমান সময়ে আমরা যে ডিজিটাল যুগে বাস করছি তার প্রমাণ হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজগুলো অনলাইনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিয়ে সেটা হাতে লিখে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিবেন বলে ভেবে থাকেন তাহলে এটা করতে পারবেন না। কারণ বিডিআরআইএস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনার তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ হওয়ার ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ সেখানে লগইন করবে এবং এটা ডাউনলোডের উপযোগী হয়ে গেলে ডাউনলোড করে নিয়ে আপনাকে প্রদান করবে।

তাই জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করার ক্ষেত্রে এমন তথ্য প্রদান করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে সংশোধন করার প্রয়োজন না থাকে। আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করছে সেগুলো আপনারা যদি দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলতে পারেন তাহলে প্রত্যেকের জন্ম নিবন্ধন সনদ সুষ্ঠুভাবে তৈরি করা হবে। তাই আপনার আবেদন ফরম ডাউনলোড করার প্রয়োজন হলে আগে তথ্য প্রদান করার ভিত্তিতে এখানে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করতে বেশ কিছু তথ্য লাগবে এবং এই তথ্যগুলো ও ডকুমেন্ট সহকারে আপনারা যখন আবেদন করবেন তখন নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা সেই নিয়মগুলো আপনাদের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করলাম।

জন্ম নিবন্ধন ফরম এর জন্য কত টাকা লাগে

যখন আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে চাইবেন এবং নতুন নিবন্ধনের ফরম পূরণ করতে চাইবেন তখন অবশ্যই
https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। এখান থেকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের আবেদন করার পেজে যেতে পারলে আপনি কোন ঠিকানার ভিত্তিতে আসলে আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটা নির্বাচন করবেন। কারণ কোন এক শিশুর জন্মস্থান এক হয়ে থাকলেও তার পিতার কর্মস্থলের ভিত্তিতে অন্য জায়গায় বসবাস করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দূরত্ব যদি অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে বর্তমান ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারেন অথবা জরুরী ভিত্তিতে জন্মস্থানের ঠিকানার ভিত্তিতে ও আবেদন করতে পারেন। তবে আপনি যে ঠিকানার ভিত্তিতেই আবেদন করে থাকুন না কেন পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের উপর ভিত্তি করে স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
bdris.gov.bd

যখন আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারছেন তখন আপনাকে ঠিকানা প্রদান করার পরবর্তী ধাপে গিয়ে কার তথ্য নিবন্ধন করবেন তার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দিন। বিশেষ করে যার তথ্য নিবন্ধন করেছেন সেই ব্যক্তির নাম বাংলাতে ও ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে। সেই জন্য আপনারা নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ বাংলা যেভাবে প্রদান করবেন ঠিক একইভাবে ইংরেজিতেও প্রদান করবেন। তারপরে জন্ম তারিখ দিতে হবে এবং জন্ম তারিখ দেওয়ার সাথে সাথেই আপনাদের সামনে কোন কোন ডকুমেন্ট সাবমিট করার কথা বলা হয়েছে সেগুলো সর্ব প্রথমে বুঝে নিতে হবে।

দ্রুত সময়ে ফর্ম সংগ্রহের উপায়

উল্লেখিত ডকুমেন্টস যদি না থাকে তাহলে ওয়েবসাইটে সেগুলো আপলোড করতে পারবেন না এবং আপলোড না হলে আপনার আবেদন সম্পন্ন হবে না। তাই আপনার কাগজপত্র থাকার ভিত্তিতে আবেদন করতে থাকুন এবং নিচে গিয়ে আপনার পরিবারের কততম সন্তান সেটা উল্লেখ করুন। এছাড়াও সেখানে আপনার লিঙ্গ এবং অন্যান্য বিষয় উল্লেখ করার কথা বলবে। তারপরে আপনারা যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করছেন সেই ঠিকানার তথ্য প্রদান করবেন। যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন শুরু করেছেন সেই ঠিকানার বিভাগের নাম থেকে শুরু করে জেলা উপজেলার নাম প্রদান করতে হবে। এমনকি বাসা বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তী পেজে চলে যাবেন এবং সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী আপনারা পিতামাতার তথ্যগুলো পূরণ করবেন।

আমরা যদি এখনকার নিয়ম অনুসরণ করতে চাই তাহলে পিতা মাতার এনআইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। অর্থাৎ জন্ম সূত্রে পিতা মাতা যদি এই দেশের নাগরিক হয়ে থাকে তাহলে সেই ভিত্তিতেই পিতা-মাতার এই তথ্যগুলো প্রদান করার মাধ্যমে কোন একটা শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করা যাবে। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে চাইলে অবশ্যই আপনারা পরবর্তী ধাপে যাবেন এবং সেখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা প্রদান করতে হবে। ঠিকানার ফরমাট একই রকমের থাকার কারণে অবশ্যই প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করবেন যাতে করে কোথাও কোনো ধরনের ভুল ভ্রান্তি না হয়। এরপরে পরবর্তী পেজে গেলে আপনাদেরকে আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করার কথা বলবে।

আবেদনকারীর বয়স যদি বেশি হয়ে থাকে এবং তার যদি এনআইডি কার্ড থেকে থাকে তাহলে আবেদনকারী নিজে আবেদন করতে পারবে। আর যদি আবেদনকারীর বয়স ১৮ এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে তার অভিভাবকের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং অভিভাবক হিসেবে তার সঙ্গে কি সম্পর্ক সে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। সেই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি একটি সচল মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে। অন্যান্য অপশন থাকলেও সেগুলো পূরণ না করলেও চলবে। এভাবে আপনারা পরবর্তী ধাপে যাবেন এবং যে সকল কাগজপত্র আপনাদেরকে থাকার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল সেগুলো অপশনের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে এবং আপলোড করতে হবে।

এখন বয়সের ভিত্তিতে সেখানে আবেদনফি প্রদান করতে হবে এবং আপনারা ফি আদায় অপশন নির্বাচন করবেন। অর্থাৎ এই অপশনটি নির্বাচন করলে সরাসরি স্থানীয় সরকার বিভাগের হাতে গিয়ে টাকা জমা দিতে পারবেন এবং তারা আপনাদের আবেদন পত্র ও কাগজপত্রের ভিত্তিতে ওয়েব সাইটে লগইন করবে। সফলভাবে আবেদনপত্র সাবমিট হওয়ার সাথে সাথে সেটা পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করা যাবে এবং আপনারা তা ডাউনলোড করে নিবেন। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অন্তত এটা জানতে পারলেন যে ফাঁকা আবেদন ফরম ডাউনলোড করার সুযোগ না থাকলেও তথ্য পূরণ করার ভিত্তিতে তথ্য সম্বলিত একটি আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করা যাবে।

bdris.gov.bd