কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায়
আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে এটা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ নতুনদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতোমধ্যে হাতে লিখে তৈরি করা হয়েছে তারাও এটা অনলাইনের মাধ্যমে প্রিন্ট আউট করে নিতে পারবেন। আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে হলে অথবা নতুন ভাবে তৈরি করতে হলে বর্তমান সময়ে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে বিডিআরআইএস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করব।
কারণ সেখানেই নতুনদের জন্য তথ্য নিবন্ধন করা হচ্ছে এবং সেই আবেদন পত্র নিয়েই স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিলে তারা অরিজিনাল ডকুমেন্টস প্রদান করছে। তবে তথ্য নিবন্ধন করা থেকে শুরু করে এগুলো সংগ্রহ করা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ধাপ রয়েছে। তাই প্রত্যেকটি ধাপ আমরা আপনাদের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। সেই সাথে যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ আগের ভার্সনে রয়েছে তারা কিভাবে এটা অনলাইন করবেন অথবা ডিজিটাল করবেন তা জেনে নিতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম
আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ যদি হাতে লিখে তৈরি করা হয়ে থাকে এবং অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান করে না পেয়ে থাকেন তাহলে এটা অনলাইন করে নিতে পারেন। তবে সাধারণ জনগণের জন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে এটা অনলাইন করার কোন সুযোগ নেই। প্রথমত আপনার যে জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে সেটার একটা ১৭ ডিজিটের নাম্বার রয়েছে। এই নাম্বারটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা সরাসরি যখন ই ভেরিফাই এর পেজে যেতে পারবেন তখন সেখানে গিয়ে নাম্বারটি ইনপুট করবেন। তারপরে আপনার জন্ম তারিখ এবং ওয়েবসাইটের প্রদত্ত গণিতের সমস্যার সমাধান করে সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন।যদি প্রত্যেকটি তথ্য খুঁজে পান তাহলে কোন সমস্যা নেই এবং না খুঁজে পেলে এটা অনলাইন করতে হবে।
তাছাড়া আগেকার জন্ম নিবন্ধন সনদ হাতে লিখে তৈরি করা হয়েছে এবং সেই সকল জন্ম নিবন্ধন সনদে বাংলা ভার্সনে তথ্য প্রদান করা আছে। এখন আপনি যদি বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে চান তাহলে সেটা করা যাবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বর্তমান সময়ে নতুন তথ্য নিবন্ধন এর মাধ্যমে যে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হচ্ছে সেটা মূলত বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে প্রদান করা হচ্ছে। তাই আপনার যখন এই তথ্য জানার হবে অথবা আপনার যখন জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনলাইন করার প্রয়োজন হবে তখন আপনাদের কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম
যারা দায়িত্ববান কাউন্সিলর তারা প্রত্যেক বাড়ি থেকে এই সকল পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করছে এবং আপডেট জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করার জন্য প্রত্যেকটি তথ্যের জন্য ৫০ টাকা করে পেমেন্ট গ্রহণ করছে। এতে তারা নিজ দায়িত্বে জন্ম নিবন্ধন সনদ গুলো অনলাইন করে তাদের হাতে এটার আপডেট ভার্সন প্রদান করছেন। তবে আপনার কাছে যদি এটা মনে হয় যে নিজ দায়িত্বে করবেন তাহলে করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে যেতে হবে অথবা ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে।তাদের কাছে আপনার পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করে যদি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে চান অথবা বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে পেতে চান তাহলে তাদেরকে বললেই সেটা সমাধান করে দিবে।
অর্থাৎ নতুন যে কপি আপনাকে প্রদান করবে সেটার জন্য ৫০ টাকা আবেদন ফি গ্রহণ করবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে এটা করার কোন সুযোগ নেই এবং আপনাকে এটা অফলাইনের মাধ্যমেই করতে হবে। তাই অতীতের অথবা পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল করার বিস্তারিত পদ্ধতি এখানে আলোচনা করা হলো। এখন আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য তথ্য অনলাইন করতে হয়। সেজন্য আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে যেতে হবে। বর্তমানে নতুন তথ্য নিবন্ধনের জন্য আমরা সবাইকে
https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংক ব্যবহার করে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে বলছি। কারণ এখান থেকে আপনাদের আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং এখান থেকে আপনারা তথ্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
bdris.gov.bd
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার ধাপসমূহ
আপনারা এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে যখন অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের পেজে যেতে পারবেন তখন আপনাদের থেকে কোন তথ্যের ভিত্তিতে এ আবেদন করবেন সেই ঠিকানা চাওয়া হবে। আপনাদের বর্তমান অবস্থান এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে সেখানে একটা ঠিকানা নির্বাচন করবেন। বাংলাদেশের পিতা-মাতা দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করলেও দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ থাকবে। তাই আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঠিকানা নির্বাচন করবেন এবং পরবর্তী পেজে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে আপনাদের নাম এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে বাংলায় যে তথ্যগুলো প্রদান করবেন ইংরেজিতে একই তথ্য প্রদান করবেন এবং সেটা ইংরেজিতে লেখা হবে।
সেই জন্য আপনাদের নামের প্রথম অংশ এবং নামের শেষ অংশ উল্লেখ করুন। ইংরেজিতেও একই নিয়ম অনুসরণ করে নামের প্রথম অংশ ও শেষ অংশ পূরণ করুন। তারপরে আপনার জন্ম তারিখ দেওয়ার সাথে সাথে সেখানে বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টস প্রদর্শন করতে পারবেন কিনা এবং এ বিষয়ে আপনার কাছে কাগজপত্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আবেদনপত্র সাবমিট করার আগেই আপনাদের এই কাগজপত্র ওয়েবসাইটে সাবমিট করার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়েও জমা দিতে হবে। তাই কাগজপত্র গুলো ভালোমতো দেখে নিন এবং সেখানে অপশনাল হিসেবে যেগুলো প্রদান করা আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এরপরে আপনার জেন্ডার এবং ধর্মের নাম লিখতে হবে।
পরিবারের কততম সন্তান সে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে। প্রত্যেকটি ধাপ সম্পন্ন করার পর আপনারা যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে চাইছিলেন সেই ঠিকানা এখন প্রদান করুন। এখানে এই ঠিকানা প্রদান করার ক্ষেত্রে নিজেদের বিভাগের নাম থেকে শুরু করে বাসার হোল্ডিং নম্বর পর্যন্ত তথ্য প্রদান করা লাগবে। কেউ যদি ট্যাক্স প্রদান না করেন এবং বাঁশের হোল্ডিং নাম্বার যদি না থাকে তাহলে আপনার বাড়ির নামের সাথে হাউস শব্দটি যোগ করে দিবেন। তারপরে আপনাদেরকে পরবর্তী পেজে যেতে হবে এবং সেখানে আপনাদের পিতা মাতার তথ্য প্রদান করা লাগবে। পিতা মাতার নাম এবং তাদের এনআইডি কার্ডের নাম্বার যেমন প্রদান করতে হবে তেমনি ভাবে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অর্থাৎ পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে আপনার এই জন্ম নিবন্ধন সনদ লিংক স্থাপন করবে এবং পরবর্তীতে যাতে এটা খুঁজে পান সেই ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনাদের স্থানীয় ঠিকানা প্রদান করতে হবে এবং আপনারা যে জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন সেটা ধাপে ধাপে পূরণ করুন।এছাড়াও আপনাদেরকে পরবর্তী পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনারা আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করুন। যিনি আবেদন করছেন তিনিই জন্ম নিবন্ধনকারী ব্যক্তি হতে পারেন এবং যদি অন্য ব্যক্তি হয় তাহলে তার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক সে বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারীর নাম ও মোবাইল নাম্বার প্রদান করবেন।
তারপরে আপনাদের যে সকল কাগজপত্র জন্ম তারিখ প্রদান করার সময় চাওয়া হয়েছিল সেগুলো ২০০ কিলোবাইট এর মধ্যে আপলোড করতে হবে। আপলোড করা হয়ে গেলে ফি আদায় অপশনটি নির্বাচন করবেন। যদি কোথাও কোন তথ্য ভুল বলে মনে হয় তাহলে তার সংশোধন করে নিবেন এবং এডিট অপশনে গেলেই তা নতুন করে লেখা যাবে। তারপরে আপনার আবেদন সাবমিট করে দিলে এটা সফল হয়েছে বলে দেখাবে এবং একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করবেন। আবেদনপত্র প্রিন্ট করে নিয়ে তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনাদের অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য নিবন্ধন করার ভিত্তিতে এটা অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাবে এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য গুলো এভাবেই অনলাইন করতে
জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি
জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেছেন এমন সকল ব্যাক্তি বাংলা ভার্সনের পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনে যদি এটা তৈরি করতে চান তাহলে নিচের নিয়ম অনুসরণ করবেন। কারণ স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে বাংলা এবং ইংরেজি ভার্সনে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করছে বলে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করে নিয়ে কাজ করতে পারছি। তাই আপনার যখন জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলা তৈরি করা আছে তখন এটার ইংরেজি ভার্সন তৈরি করার জন্য যেমন নিচের নিয়ম অনুসরণ করবেন তিনি ভাবে বর্তমানে যে সকল নিয়ম অনুসরণ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করা হচ্ছে সেটা অনুসরণ করবেন।
আপনার যদি নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া বা নিয়ম প্রয়োজন হয় তাহলে এখান থেকে জেনে নিবেন। তাহলে আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জানিয়ে দিতে পারবো এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রত্যেকটি কাজ করে নিতে পারবেন। তাছাড়া নতুন আবেদনের ভিত্তিতে আপনারা বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে জন্ম নিবন্ধন হাতে পাবেন।
যারা ইতোমধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে ফেলেছেন এবং হাতে ডকুমেন্টস এসে পৌঁছেছে তাদের হয়তো আগের ভার্সনে জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে। তাই আপনার যখন জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হবে এবং ইংরেজি ভার্সনে প্রয়োজন হবে তখন এটা তৈরি করে থাকলে অবশ্যই আপনারা স্থানীয় যে কাউন্সিলর রয়েছে তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাহলে এটা অনলাইনের মাধ্যমে বাংলা ভার্সন থেকে ইংরেজি ভার্সন প্রদান করার জন্য ৫০ টাকা আবেদন ফি গ্রহণ করবে এবং তারাই সকল কাজ করে দিবে। এক্ষেত্রে আপনারা অনলাইন সার্ভিসের দোকান থেকে অথবা ঘরে বসে আবেদন করার কোন সুযোগ নেই।
জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে
তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ যদি আগের ভার্সনে থেকে থাকে তাহলে সরাসরি স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে বিষয়টা অবগত করলে তারা আপনাদেরকে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে অনেক এলাকার দায়িত্ববান কাউন্সিলর জনপ্রতি 50 টাকা করে আবেদন ফি গ্রহণ করে থাকে এবং তারা নিজ দায়িত্বে প্রত্যেকের জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলা এবং ইংরেজি ভার্সনে তৈরি করে এনে দেয়। তবে এটা যদি আপনাদের কাউন্সিলর না করে থাকে তাহলে সরাসরি স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে বললেই তার আপনাদের থেকে এটার জন্য ৫০ টাকা গ্রহণ করবে এবং বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে। তবে আপনারা যদি নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে এটা তৈরি করতে চান তাহলে নিচের নিয়ম অনুসরণ করার জন্য বলা হলো।
বর্তমান সময়ে আমরা যদি জন্ম নিবন্ধন সনদের নতুন নিবন্ধন করতে চাই তাহলে বিডিআরআইএস এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। কারণেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের আবেদনের প্রত্যেকটি তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হচ্ছে এবং সেখান থেকে আবেদন পত্র প্রিন্ট করে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জমা দিতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ হিসেবে আপনারা যখন এই কাজগুলো করতে চাইবেন তখন অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে প্রথমত আপনার কাগজপত্রের ভিত্তিতে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং আবেদন করতে হবে। তাই আবেদন করার জন্য আপনাদের লিঙ্ক প্রয়োজন বলে
https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংক প্রদান করা হলো। এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রথম দিকে তথ্য নিবন্ধন করা শুরু করবেন।
প্রথমত আপনারা কোন ঠিকানার ভিত্তিতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চান অথবা এটা আবেদন করতে চান তা উল্লেখ করতে হবে। অনেকের জন্মস্থানের ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই থাকার কারণে যেকোনো একটা অপশন নির্বাচন করলেই হবে। তবে আপনার যদি কর্মস্থলের কারণে শিশুর জন্মস্থানের ঠিকানা আলাদা হয়ে থাকে এবং স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা সুবিধামতো যে কোন একটা ঠিকানা নির্বাচন করবেন। কারণ আপনারা আপনাদের সুবিধামতো নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রদান করে থাকলেও স্থায়ী ঠিকানা আপনাদের থেকে চাওয়া হবে এবং সেই ঠিকানার ভিত্তিতে আপনারা এটার প্রতিলিপি আবার সংগ্রহ করতে পারবেন।
bdris.gov.bd
জন্ম নিবন্ধন করার সময় যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
দেশের বাইরে অবস্থান করলেও দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। তাই প্রথমে আপনার যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে চান সেটা নির্বাচন করে পরবর্তী পেজে গেলেই এখন আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে বলবে। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের নির্দিষ্ট একটা নাম রাখতে হবে এবং বাংলায় নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ প্রদান করতে হবে। বাংলায় যে ঘরে আপনার নামের প্রথম অংশ প্রদান করেছেন ইংরেজিতেও একই ভাবে নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ লিপিবদ্ধ করতে হবে। এরপর আপনার জন্ম তারিখ দিতে হবে এবং জন্ম তারিখ দেওয়ার সাথে সাথে আপনার সামনে একটি নোটিশ চলে আসবে।
সেই নোটিশ যদি পড়ে দেখেন তাহলে আপনাদেরকে বলে দেওয়া হবে যে নির্দিষ্ট কাগজপত্র সঙ্গে রয়েছে কিনা এবং সঙ্গে যদি সেই কাগজপত্র থাকে তাহলে আবেদনপত্র কন্টিনিউ করার কথা বলবে। যদি সেই সকল কাগজপত্র আমাদের সংগ্রহে না থেকে থাকে তাহলে সেগুলো সংগ্রহ করার পর আবেদন করাটা সবচাইতে ভালো হবে। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই এই কাজগুলো করতে পারবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবেন। এরপরে আপনি পরিবারের কততম সন্তান সেটা উল্লেখ করার পাশাপাশি আরো যে সকল ব্যক্তিগত তথ্য যা হবে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন। আপনারা যে ঠিকানার ভিত্তিতেই আবেদন করে থাকুন না কেন আপনাদেরকে অবশ্যই স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে এবং বাসা থেকে শুরু করে আপনাদের বিভাগের নাম এবং হোল্ডিং নাম্বার প্রদান করতে হবে।
এখন পরবর্তী পেজে যাবেন এবং সেখানে আপনার পিতা-মাতার তথ্য প্রদান করার কথা বলবেন। তাদের এনআইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করতে হবে। এছাড়াও তাদের নাম এবং তাদের পেশা উল্লেখ করতে হবে। পিতা মাতার তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে আপনারা আবার পরবর্তী ধাপে চলে যাবেন এবং সেখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকলে আপনারা একবার তথ্য প্রদান করবেন। এরপরে পরবর্তী ধাপে গেলেই আপনাদেরকে আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করার পেজ চলে আসবে।
এই পোস্টে আমরা যা কিছু শিখলাম এক নজরে
তবে আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে সেখানে আবেদনকারী সাথে সম্পর্ক হিসেবে অন্য সম্পর্ক দিতে হবে। তবে আবেদনকারী যদি নিজে আবেদন করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে সেখানে নিজ অপশন নির্বাচন করতে হবে। তাছাড়া আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার লাগবে এবং নাম লাগবে। সেখানে ইমেইল এড্রেস প্রদান করার কথা থাকলেও আপনারা সুবিধামতো এটা ব্যবহার করতে পারেন অথবা না করলে সমস্যা নেই। প্রথম পেজে তথ্য নিবন্ধন করার সময় যে সকল কাগজপত্রের কথা বলা হয়েছিল সেগুলো আপনারা অপশনের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন। তাহলে সাইডে আপলোড অপশন চলে আসবে এবং আপলোড অপশনে গিয়ে আপনারা সেগুলো আপলোড করে দেবেন। প্রত্যেকটি ফাইল এর সাইজ ২০০ কিলোবাইটের উপরে যেন না হয় সে বিষয়টি আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।
এরপরে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের ফি আদায় অপশন নির্বাচন করতে হবে। ফলে কোন ধরনের চালান ফর্মের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করার অপশন না থাকাই আপনারা সরাসরি স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। আবেদন ফরম সাবমিট করে দেওয়ার সাথে সাথে অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করা হবে এবং সেটা প্রিন্ট আউট করে নিতে বলবে। অ্যাপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করে রাখতে পারলে পরবর্তীতে আপনারা প্রিন্ট আউট করে নেওয়ার আবার সুযোগ পাবেন। সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করুন এবং সেটা স্থানীয় সরকার বিবাহের কাছে জমা দিলেই এক পৃষ্ঠায় বাংলায় জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য এবং অন্য পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সম্বলিত একটা ডকুমেন্টস প্রদান করা হবে।