জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন | সংশোধনী আবেদন করুন দ্রুত
জন্ম নিবন্ধন সনদে নাম থেকে শুরু করে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যের ভুল অথবা পিতা মাতার নামের বানানের ভুল থেকে থাকলে অবশ্যই সেগুলো আপনারা সংশোধন করে নিবেন। যদি আপনার এনআইডি কার্ড ও মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট থেকে অন্যান্য ডকুমেন্টস এ এক রকমের জন্ম তারিখ প্রদান করা থাকে এবং জন্ম নিবন্ধন সনদে যদি ভুল তথ্য প্রদান করে থাকে তাহলে সেটা সংশোধন করার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম আপনারা জানতে এখানে ভিজিট করেছেন বলে অবশ্যই আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করার নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হবে।
তথ্য সংশোধনের এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হতে পারলে খুব সহজেই নিজেরা নিজেদেরকে আপডেট করতে পারবেন এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধিত হয়ে যাবে। সর্বসাধারণের অবগতির জন্য আমরা নিয়মিতভাবে এই কাজগুলো তুলে ধরছি যাতে করে প্রত্যেকেই জন্ম নিবন্ধন সনদের ভুলভ্রান্তি দেখতে পেলেই সংশোধন করার জন্য আবেদন করে।
জন্ম নিবন্ধন ভুল সংশোধন
জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধনের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র যদি আপনারা ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে না পারেন তাহলে সেটা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। কারণ আপনি মনগড়া তথ্য দিয়ে সেখানে কোনো তথ্য সংশোধন করতে পারবেন না অথবা ইচ্ছা অনুযায়ী কোন তথ্য সংশোধন করার অপশন সেখানে নেই।যে তথ্যটি আপনি সংশোধন করলেন সেই তথ্যের প্রেক্ষিতে কোন কোন কাগজপত্র সাবমিট করবেন তা নির্বাচন করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেখিয়ে দিতে হবে। তবে আপনার এই সকল দিক থেকে যদি আত্মবিশ্বাস থাকে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে তাহলে আর দেরি না করে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং সেখানে গিয়ে তথ্য সংশোধনী এর অপশন ব্যবহার করুন।
জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার জন্য আপনারা যদি সরাসরি লিংক সংগ্রহ করতে চান তাহলে লিংক প্রদান করব বিডিআরআইএস লিখে সার্চ করতে বলব। তথ্য সংশোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের আবেদন করা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে নির্দিষ্ট একটা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে এটা পরিচালিত হয়ে আসছে। তাই তথ্য সংশোধন করার জন্য আপনারা যখন লিংক সংগ্রহ করতে চাইবেন তখন https://bdris.gov.bd/br/correction এই লিংক কপি করে নিবেন। অথবা বার্থ সার্টিফিকেট কারেকশন লিখে সার্চ করলেও আপনাদের সামনে একই ওয়েবসাইট প্রদর্শিত করাবে কর্তৃপক্ষ। তাই সঠিকভাবে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর আপনারা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে তথ্য সংশোধনের প্রত্যেকটি ঘর পূরণ করবেন।
তথ্য সংশোধনের এই ধাপগুলো যখন আপনারা পূরণ করবেন তখন সর্বপ্রথম এর পেজে পিতা-মাতার নামের বানান সংশোধন করতে হলে যে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে সেগুলো পড়তে হবে। অর্থাৎ পিতা মাতার নামের বানান ভুল হয়ে থাকলে সর্বপ্রথমে তাদের নামের বানান সংশোধন করে আসতে হবে। পরবর্তীতে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদের বানান ভুল করার জন্য সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রমাণপত্র হিসেবে সাবমিট করতে হবে। তাই সেখানে সেই সন্তানের জন্ম সাল অথবা পিতা-মাতার জন্ম সালের ওপরে বিশেষ যে দিকনির্দেশনা বা তথ্য প্রদান করা হয়েছে সেগুলো আপনারা পড়ে নিন। আর যদি পিতা মাতার নামের বানান সংশোধন করা না লাগে তাহলে পরবর্তী পেজে যেতে হবে এবং তার আগে আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন খুঁজে বের করতে হবে।
ভুল সংশোধনের ওয়েবসাইট
সেই জন্য আপনাদেরকে নিচের দিকে যাওয়ার জন্য বলা হলো। সেখানে আপনার যে ব্যক্তিগত ১৭ ডিজিটের পরিচিতি নাম্বার রয়েছে সেটা সর্বপ্রথমে প্রদান করবেন। তারপরে ক্যালেন্ডার থেকে আপনার জন্ম তারিখ থেকে জন্ম সাল নির্বাচন করতে হবে। এভাবে তথ্যগুলো প্রদান করার পর তথ্য অনুসন্ধান করে দেখতে হবে এবং তথ্য যদি খুঁজে পান তাহলে মিলিয়ে দেখতে হবে সেখানে আপনার নাম ঠিকঠাক মত দিয়ে দেওয়া আছে কিনা। অনেক সময় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে অনলাইন করা হয় না বলে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই তথ্য অনুসন্ধান করার পরও আপনার নাম যদি খুঁজে না পান অথবা অন্য কোন ব্যক্তির নাম যদি সেখানে দেখিয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
bdris.gov.bd
এখানে কর্তৃপক্ষ বলতে স্থানীয় সরকার বিভাগ অথবা আপনারা যেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছেন সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তারপরে তারা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা অথবা সঠিক ধাপ অনুসরণ করতে বলবে। অর্থাৎ আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ যদি আপনি খুঁজে না পান তাহলে তথ্য সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন না। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার জন্য আমরা আপনাদেরকে সেখানে নিজেদের নাম খুঁজে পেতে বলবো। যদি নাম খুঁজে পান এবং নামের মিল যদি পেয়ে যান তাহলে নিশ্চিত করুন অপশনটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনাদের আরো অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে।
পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনাদের বিভাগের নাম থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলার নাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রত্যেকটি তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ওয়েবসাইটে অপশন এর মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। এরপরে পরবর্তী পেজে যাবেন এবং সেখানে আপনাদেরকে পিতামাতার তথ্য প্রদান করার কথা বলবেন। অর্থাৎ আপনার পিতা মাতার নাম থেকে শুরু করে তাদের এন আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার প্রদান করতে হবে। পিতা মাতারই তথ্যগুলো প্রদান করার পরে পরবর্তী পেজে যেতে পারলেই আপনাদেরকে আসল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ এখানে আপনারা তথ্য সংশোধন করার জন্য কোন কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তা নির্বাচন করবেন।
ধাপসমূহ
সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সনদে যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয় সেই বিষয়গুলোই সেখানে অপশন এর মাধ্যমে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই আপনার যে তথ্য সংশোধন করা প্রয়োজন সেটি নির্বাচন করুন এবং সাইডে যে ঘর রয়েছে সেখানে গিয়ে আগের যে ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছিল সেটা তুলে দিন। আর সেই ভুল তথ্যের পরিবর্তে সঠিক তথ্য হিসেবে কি হতে পারে সেটা আপনারা পরবর্তী ঘরে বসিয়ে দিবেন। তাছাড়া তথ্য নিবন্ধন করার সময় যে ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন তিনি ভুল ভাবে নিবন্ধন করেছেন এমন একটা কারণ আপনাদেরকে দেখাতে হবে। তবে এই কারণ অপশনের মাধ্যমেই আপনারা প্রদান করতে পারবেন এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একই কারণ দেখাতে হবে।
এভাবে চাইলে আপনারা একাধিক তথ্য সংশোধন করার আবেদন করতে পারেন এবং সেই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে আরও তথ্য সংযোজন করুন অপশনটি ব্যবহার করার জন্য বলা হলো। নিচের দিকে গিয়ে আপনারা আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করবেন এবং আবেদনকারী যদি নিজে হয়ে থাকেন তাহলে নিজ অপশনটি নির্বাচন করাটাই সবচেয়ে ভালো হবে। যদি পরিবারের অন্য কোন সদস্য হয় তাহলে তার সঙ্গে আবেদনকারী অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদদের আসল মালিকের সম্পর্কে কি সে বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়াও সেখানে একটা সচল মোবাইল নাম্বার দিতে হবে যাতে করে সফলভাবে আবেদনপত্র সাবমিট হওয়ার সাথে সাথে একটা অ্যাপ্লিকেশন আইডির এসএমএস ফোনে চলে আসে। কারন সেই অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে পরবর্তীতে আপনারা আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য যাচাই করতে পারবেন।
এভাবে আপনারা ওয়েবসাইটে আরো কাজ করবেন এবং এর যে তথ্য সংশোধন করলেন তার পেছনে কোন কোন যুক্তি অথবা কাগজপত্র সাবমিট করতে যাচ্ছেন সেগুলো নির্বাচন করতে হবে। সেই সাথে সাইডে যে আপলোড অপশন আসবে সেখানে ২০০ কিলোবাইটের এর মধ্যে প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস আপলোড করে দিবেন। তারপরে আপনারা সেখানে আবেদন ফি প্রদান করার জন্য ফি আদায় অপশনটি নির্বাচন করলে সবচাইতে ভালো হবে। সফলভাবে আবেদনপত্র সাবমিট করার পর সেটা প্রিন্ট আউট করবেন এবং ওয়েবসাইটে যে সকল কাগজপত্র প্রমাণপত্র হিসেবে দেখিয়েছেন সেগুলো সহকারে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে জমা দিবেন। প্রত্যেকটি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে অল্প কিছুদিনের ভেতরে আপনাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করা হয়ে