জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অনলাইনে করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার যদি প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে এটা করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে সর্বপ্রথমে যাওয়ার আগে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট যারা পড়ছেন তাদের উদ্দেশ্যেই আমরা আবেদন কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে জানিয়ে দেবো। তাছাড়া আবেদন পরবর্তী ধাপ গুলো অনুসরণ করার ক্ষেত্রে আপনাদের যদি আমরা বুঝিয়ে দিতে পারি তাহলে অনেকের জন্যই তো সুবিধা জনক হবে।
তাই জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত সমস্যায় যারা আছেন অথবা যাদের তথ্যগত ভুল রয়েছে তারা অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে এই কাজগুলো সম্পন্ন করবেন। তাহলে কাউকে কোন বেশি টাকা না দিয়ে অফিসিয়াল ফি প্রদান করার মাধ্যমে তথ্য সংশোধন করতে পারবেন এবং বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী এটা দ্রুত সংশোধন করা যাবে। আপনার যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে আর দেরি না করে এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস হওয়ার কারণে সংশোধন করে নিবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কি
আমরা যদি জন্ম নিবন্ধন সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে চাই তাহলে বুঝবো যে জন্ম সূত্রে দেশে জন্মগ্রহণ করেছে বলে অবশ্যই এটা আমাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। আপনার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে শুরু করে আরো পরিচয়পত্র থেকে থাকলে প্রত্যেকটি তথ্য যেন মিল থাকে এ বিষয়টি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। যদি এই বিষয়গুলো নিশ্চিত না করতে পারেন তাহলে জীবনে যখন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন অথবা কোন সরকারি চাকরিতে যোগদান করবেন তখন আপনার এই ডকুমেন্টস এর কারণে অনেক কিছুতেই আপনি ব্যর্থ হতে পারেন। তাই সঠিকতা অবলম্বন করার কোন বিকল্প নেই এবং আমরা যদি সঠিকতা অবলম্বন করতে পারি তাহলে নিজ দায়িত্বে জন্ম নিবন্ধনের এ বিষয়গুলো সংশোধন করে নিব।
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি কাজ করে সেটা হল প্রমাণপত্র। অর্থাৎ আপনি কোন তথ্যের ভিত্তিতে এটা সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেটা যদি একটাবার দেখেন অথবা বোঝেন তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করার মাধ্যমে এটা সংশোধন করে নিতে পারবেন। যদি আপনি ন্যাশনাল আইডি কার্ড ঠিক থাকে এবং শিক্ষকদের যোগ্যতার সার্টিফিকেট ঠিক থাকে তাহলে তথ্য সংশোধন করার জন্য ২৩০ টাকা দিয়ে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে হবে। কারণ এই সার্টিফাইড কপির মাধ্যমে আপনারা কার্যকরী উপায়ে তথ্য সংশোধন করতে পারবেন এবং এটা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে স্বীকৃত একটা নিয়ম।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কোথা থেকে করতে হয়
তথ্য সংশোধনের জন্য আমাদেরকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে যেসকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে বলা হয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। তাই আপনি যদি বার্থ সার্টিফিকেট কারেকশন লিখে সার্চ করেন তাহলে আপনাকে সেই তথ্য সংশোধনের পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে। যদি লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অবশ্যই
https://bdris.gov.bd/br/correction এই লিংক এখান থেকে কপি করে নিবেন। এই লিংক কপি করে নেওয়ার মাধ্যমে আপনারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর তথ্য এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন সনদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরেই সর্বপ্রথমে আপনাদের যে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হবে সেটা ভালোমতো পড়বেন।
অর্থাৎ সেখানে যে নিয়মকানুন উল্লেখ করা রয়েছে তার সারসংক্ষেপ এই যে, আপনার যদি পিতা মাতার নামের বানান সংশোধন করা লাগে তাহলে পিতা-মাতার নামের বানান সংশোধন করার উদ্দেশ্যে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং এনআইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ২০০০ সালের পরে জন্মগ্রহণ করলে এক সিস্টেম এবং ২০০০ সালের আগে জন্মগ্রহণ করলে আরও অন্য সিস্টেম অনুসরণ করতে হবে। তাই আপনারা কোন সিস্টেম অনুসরণ করতে চান সেটা দেখে নিন এবং সেই অনুযায়ী আপনাদের তথ্যগুলো সংশোধন করে নিন। এরপরে আপনার তথ্য সংশোধন করার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ খুঁজে পাওয়ার জন্য আমরা আপনাদেরকে এনে বার্থ রেজিস্ট্রেশনের নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে তথ্য সার্চ করতে বলব।
bdris.gov.bd
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম
উপরের উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন এর নাম খুঁজে পান এবং অন্যান্য তথ্যের মিল পেয়ে যান তাহলে সেটা আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ তথ্য সার্চ করে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি এখানে এই কারণে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি আসলে এটার তথ্য সংশোধন করার জন্য পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে চাইছেন। তাই পরবর্তী ধাপে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার জন্য ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য যাওয়া হবে। অর্থাৎ আপনারা যে অফিসে এই জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন জমা দিবেন সেই অফিসে গিয়ে অবশ্যই নির্দিষ্ট ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে হবে।
যেহেতু পিতা-মাতার তথ্য সংশোধন করা লাগতে পারে সেহেতু পিতা-মাতার তথ্য প্রদান করার জন্য আরো একটি ধাপ আপনাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার এবং ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে হবে। আরো বেশ কিছু তথ্য যাওয়া হবে বলে সেগুলো আপনারা সঠিকভাবে পূরণ করে পরবর্তী ধাপে গিয়ে আসল কাজ সম্পন্ন করুন। অর্থাৎ পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সনদে যে সকল তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে সেগুলোই অপশনের মাধ্যমে আপনারা পেয়ে যাবেন এবং কোন তথ্যটি সংশোধন করতে চান তা অপশনের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন। তারপরে আপনাদেরকে ভুল তথ্য হিসেবে কোনটা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তা উল্লেখ করতে হবে এবং এর সংশোধিত তথ্য হিসেবে কি প্রদান করতে চান সেটাও প্রদান করতে হবে।
ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা সর্বোচ্চ চারবার তথ্য সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। তাই একবার একাধিক তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন হলে “আরো তথ্য সংযোজন করুন” অপশনে যেতে হবে। এভাবে আপনারা একই নিয়ম অনুসরণ করে আরো তথ্য একইভাবে সংশোধনের আবেদন করবেন এবং অবশ্যই উল্লেখ করবেন যে তথ্য নিবন্ধন করার সময় ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। তথ্য সংশোধনের কাজ শেষ করে আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করতে হবে এবং আবেদনকারী আসলে এই জন্ম নিবন্ধনকারী ব্যক্তির সম্পর্কে কি হয় সেটা নির্বাচন করবেন। পারিবারিক কোন সম্পর্ক না থেকে থাকলে অন্যান্য অপশন নির্বাচন করবেন।
তাছাড়া আবেদনকারীর তথ্যের জায়গায় মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে এবং নাম ও ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে। তাহলে আবেদনপত্র সফলভাবে যখন সাবমিট হবে তখন একটা অ্যাপ্লিকেশন আইডির এসএমএস ফোনে আসবে এবং সেটা দিয়ে পরবর্তীতে আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক করে নিতে পারবেন। আবেদনপত্রের এ সকল তথ্য প্রদান করার পরে আপনারা কোন কাগজপত্র প্রমাণপত্র হিসেবে সাবমিট করতে চান তা অপশনের মাধ্যমে নির্বাচন করবেন। তাহলে সেই কাগজপত্র নির্বাচন করা হলে খুব সহজেই আপলোড অপশনে গিয়ে ২০০ কিলোবাইটের মধ্যে প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস আপলোড করার সুযোগ পাবেন। সফলভাবে আপলোড করার পর আপনারা আবেদন ফি হিসেবে এটা সরাসরি অফিসে গিয়ে জমা দিতে চান বলে “ফি আদায়” অপশন নির্বাচন করুন।
আপনার আবেদনপত্র সাবমিট করে দেওয়ার পর এটার পিডিএফ ফাইল তৈরি হয়ে যাবে এবং সেটা প্রিন্ট আউট করে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সহকারে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে চলে যাবেন। ছোট ছোট ভুলের জন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০ টাকা এবং বেশ কিছু ভুলের জন্য একেবারে ১০০ টাকা গ্রহণ করা হতে পারে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরে আপনারা সেই অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে মাঝেমধ্যে আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক করে দেখে নিবেন এটার কতদূর অগ্রগতি হয়েছে। যদি সেখানে প্রিন্ট করা হয়েছে এমন তথ্য ও প্রদর্শন করা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কাউন্সিলরের মাধ্যমে অথবা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে এটা সংগ্রহ করে নিতে
জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংশোধন
কারো যদি জন্ম নিবন্ধন আমাদের আবেদন করার পর অথবা অরিজিনাল ডকুমেন্টস হাতে পাওয়ার পর এটা সংশোধন করার প্রয়োজন থাকে তাহলে আপনার একটা সংশোধন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন সংশোধন অথবা অরিজিনাল ডকুমেন্ট সংশোধনের জন্য অনলাইনে এই সিস্টেম আমরা অনুসরণ করছি বলে প্রয়োজন হলে আমাদেরকে এগুলো জানতে হবে। তবে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করার সময় আপনারা যেগুলো প্রদান করেছেন সেগুলো যেন প্রত্যেকটি তথ্য সঠিক থাকে সে বিষয়ে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
কারণ আবেদন পত্র একবার সাবমিট হয়ে গেলে সেটা আপনারা সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে আবেদন করবেন। অর্থাৎ আবেদনপত্র সাবমিট করার পর সেটা যদি সংশোধন করতে চান তাহলে তা পারবেন না এবং এটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সম্ভব হবে না। তাই আবেদন করার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের সঠিকতা অবলম্বন করে তথ্য ইনপুট করবেন এবং পরবর্তীতে যদি জন্ম নিবন্ধন সনদে ভুল আসে তাহলে সংশোধনের আবেদন করতে হবে।
সাধারণত আপনারা যখন আবেদন করে থাকেন তখন আবেদনের সামারি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়ে থাকে। সেখান থেকে আপনারা প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে দেখে নিতে পারেন অথবা দেখে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে কোন তথ্য ভুল থাকলে অবশ্যই এডিট করে তথ্য সংশোধন করতে পারেন। কিন্তু আবেদন সাবমিট করে দেওয়ার পর এটার সংশোধন করার সুযোগ নেই এবং আপনার আবেদন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগ আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধন করবে। অরিজিনাল ডকুমেন্ট অনুযায়ী আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার দেখে নিয়েন যদি তথ্য অনুসন্ধান করেন এবং তথ্যগত ভুল যদি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন। সংশোধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম আপনাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে যাতে করে আপনারা এই নিয়ম অনুযায়ী সংশোধন করে নিতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের বর্তমান অবস্থা যাচাই কিভাবে করবেন
জন্ম নিবন্ধন এর যে সকল নাগরিক সেবা ওয়েবসাইট থেকে আমরা পেয়ে থাকি সেখান থেকে এ সংক্রান্ত আবেদন বাতিলের জন্য অপশন দেওয়া আছে। কিন্তু আবেদনপত্র সাবমিট করার পর সেটা যদি সংশোধন করতে চান তাহলে সেরকম কোনো সুযোগ পাবেন না। তাই আবেদন সংক্রান্ত এই সংশোধন বিষয়ক আপনাদের সামনে তথ্য উপস্থাপন করব বলে আপনার অবশ্যই সেটা জানবেন। তথ্য সংশোধনের জন্য আপনার হাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র যেমন থাকতে হবে তেমনি ভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদের অরিজিনাল ডকুমেন্ট অথবা এটার ব্যক্তিগত পরিচিতি নাম্বার থাকতে হবে। তাহলে আপনারা খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন সমাজের কাজগুলো করতে পারবেন এবং তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন হলে সেটা সংশোধন করে নিতে পারবেন।
বর্তমানে বিডিআরআইএস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে আমরা জন্ম নিবন্ধন সনদের যাবতীয় সেবা গ্রহণ করে আসছি। অনলাইন ভিত্তিকে সেবা প্রদান করে আসছে বলে আমরা ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেমন আবেদন করতে পারছি তেমনিভাবে অনলাইন সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদন করে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিলে আমাদের আবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনে কাগজপত্র প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার জন্য আমরা সর্বপ্রথম এর লিংক প্রদান করব এবং সেই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আবেদন করার পেজে যেতে পারবেন। তথ্য সংশোধনের লিংক হল
https://bdris.gov.bd/br/correction । এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা যেমন অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন তেমনিভাবে বার্থ সার্টিফিকেট কারেকশন লিখেও এই লিংক পেয়ে যাবেন।
তবে যাই হোক আপনারা সংশোধন করার পেইজে যখন যেতে পারবেন তখন পিতা-মাতার নাম সংশোধন করার প্রয়োজন হলে সেখানে যে দিকনির্দেশনা প্রদান করা আছে সেটা ভালোমতো বুঝে নিবেন। সাধারণত আপনার পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম সংশোধন এবং আপনার পিতা মাতার নাম সংশোধন করার ক্ষেত্রে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। অর্থাৎ সেখানে যে দিকনির্দেশনা প্রদান করা আছে সেগুলো আপনারা পুরোপুরি ভাবে পড়বেন এবং সেগুলো পড়ার পরে আপনাদেরকে অন্যান্য ধাপ অনুসরণ করার কথা বলব। সেক্ষেত্রে আপনারা নিচের দিকে গিয়ে আপনার বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এর ১৭ ডিজিট ইনপুট করবেন এবং জন্ম তারিখ দিয়ে দিবেন।
জন্ম তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন
ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে জন্ম তারিখ নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে বলে আপনারা সর্বপ্রথমে জন্ম মাস এবং জন্ম তারিখ দেওয়ার পরে এডিট অপশনে গিয়ে জন্ম সাল প্রদান করবেন। এরপরে আপনাদেরকে তথ্য সার্চ করে দেখতে হবে এবং সেখানে যদি আপনি আপনার নাম খুঁজে পান তাহলে সাইডে থাকা কনফার্ম করুন বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে পরবর্তী পেজে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন বিষয়ক যাবতীয় ধাপ চলে আসবে। আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার জন্য কোন ঠিকানার ভিত্তিতে অথবা কোন স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে এটা করতে চাচ্ছেন সেই ঠিকানা পরবর্তী পেজে প্রদান করা লাগবে। ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য ধাপে ধাপে অপশন এর মাধ্যমে পূরণ করুন এবং এটা পূরণ করলে আপনাদের কাজ হয়ে যাবে।
এরপরে পরবর্তী পেজে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার পিতামাতার তথ্য যাওয়া হবে। বিশেষ করে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার এবং এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে হবে। তাছাড়া আপনার অন্যান্য ডকুমেন্ট অনুযায়ী পিতা মাতার নাম সেখানে উল্লেখ থাকবে বলে আপনাদেরকে শুধু তাদের নাম এবং অন্যান্য বিষয় যদি চাওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো উল্লেখ করবেন। এরপর আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার আসল পেইজে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনারা কোন কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তা নির্বাচন করবেন। যখন আপনারা অপশনের মাধ্যমে তথ্য সংশোধন করার অপশনটি নির্বাচন করে ফেলবেন তখন অবশ্যই আপনার পূর্বের তথ্য অর্থাৎ বর্তমান তথ্য উল্লেখ করবেন।
সেই সাথে সংশোধিত তথ্য হিসেবে আপনারা কোনটা প্রদান করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ ভুল তথ্যের পরিবর্তে কোনটা সঠিক তথ্য দিয়ে দিতে যাচ্ছেন সেটা উল্লেখ করবেন। এখানে অপশনের মাধ্যমে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে যে তথ্য নিবন্ধনের সময় ভুল তথ্য নিবন্ধন করা হয়েছিল এবং এই কারণটি দেখানো লাগবে। এভাবে আপনারা একবার একাধিক তথ্য সংশোধন করে নিতে পারেন। তারপরে আবেদনকারীর তথ্য পূরণ করা লাগবে এবং আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে আবেদনকারী সম্পর্কের জায়গায় অন্যান্য অপশন নির্বাচন করতে হবে। আর আবেদনকারী যদি ১৮ বছরের উপর হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আবেদনকারী নিজে আবেদন করছেন এ বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
দ্রুত জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের টিপস
এতক্ষণ যে তথ্যগুলো সংশোধন করার জন্য আপনারা নির্বাচন করলেন এবং ভুল তথ্য কেটে দিয়ে সঠিক তথ্য লিখলেন তার জন্য যথেষ্ট প্রমাণপত্র ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হবে। প্রথমে কাগজপত্রের নাম সিলেক্ট করার পর সাইডে যে আপলোড অপশন আসবে সেখানে আপনারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে দিবেন। তবে প্রমাণপত্রের জায়গায় যে সকল কাগজপত্র আপলোড করছেন সেগুলোর সঙ্গে যেন তথ্য সংশোধনের সামঞ্জস্য থাকে সে বিষয়টি লক্ষ্য করবেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে আপনারা দুই থেকে চারটি প্রমাণপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করার পর নিচে গিয়ে আবেদন ফি এর জায়গায় ফি আদায় অপশন নির্বাচন করবেন।
তারপরে আপনাদের আবেদনপত্র সাবমিট করে দিবেন এবং আবেদনকারীর তথ্যের জায়গায় যে মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছিলেন সেই মোবাইল নাম্বার একটা অ্যাপ্লিকেশন আইডি সম্বলিত এসএমএস আসবে। তাছাড়া আবেদন পত্রটি যখন সফলভাবে সাবমিট হয়ে যাবে তখন ওয়েবসাইটেও আপনাদের একটা নাম্বার দেখানো হবে এবং তথ্য সংশোধনের এই আবেদনপত্রের নাম্বার সংগ্রহ করে রাখবেন। কারণ আবেদন করার পর যদি তথ্য সংশোধন না হয়ে থাকে এবং এটা বিলম্ব হয়ে থাকলে অবশ্যই অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করে নিতে পারবেন। তাই আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করে নেওয়ার পর আপনারা খুব সহজে জন্ম নিবন্ধন সনদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এগুলো আপডেট জেনে নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাহলে আপনাকে সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে।