জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf

অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করার সিস্টেম যারা শিখতে এসেছেন তাদের বলব যে তথ্য নিবন্ধন করতে পারলেই আপনাকে এটা পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করার সুযোগ প্রদান করবেন। বর্তমানে হাতে দেখে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম পূরণ করার কোনো সুযোগ নেই অথবা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে সরাসরি তথ্য প্রদান করেও এটা আপনারা করতে পারবেন না।

প্রাথমিকভাবে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং যদি আপনারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে না পারেন তাহলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ কেউ ইচ্ছামত এবং মনগড়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে পারবে না বলে এরকম সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তাই পরিবারের কোনো শিশু সন্তান জন্মগ্রহণ করে থাকলে অথবা আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ আসলেই তৈরি করা না হয়ে থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে এটার আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করে নিন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম

আবেদন করার সময় যে সকল কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করবেন সেগুলোই আবার আবেদন পত্রের সঙ্গে সরাসরি স্থানীয় সরকার বিভাগকে গিয়ে জমা দিতে হবে। তাহলে তারা তৎক্ষণাথ অথবা দু-একদিনের ভেতরে আপনাকে এই জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে। যেহেতু জন্ম নিবন্ধন সনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ডকুমেন্টস সেহেতু এটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেই আমাদের প্রত্যেককে নির্ভুলভাবে তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। যাদের বয়স শূন্য থেকে পাঁচ বছরের নিচে তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এটা তৈরি করতে পারবে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ আপনাদের জন্য এই সিস্টেম চালু রেখেছেন। তবে আপনাদের সর্বপ্রথম বলে দেবো স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনটি এবং কারা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলো করে থাকে।

আপনি যে জায়গায় বসবাস করছেন সেই জায়গার আশেপাশে যেটা ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে বিবেচিত অথবা পৌরসভা হিসেবে বিবেচিত সেটাই হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ। এক্ষেত্রে শহর পর্যায়ে আমরা তাকে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে চিনে থাকি। তাই আপনার আবেদন সর্বপ্রথমে সম্পন্ন করুন এবং আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সকল তথ্য প্রয়োজন হবে সেগুলো প্রদান করুন। জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে আবেদন ফরম যেভাবে পূরণ করবেন তার নিচের দিকে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। আপনারা যদি এখানকার এই তথ্যগুলো পড়েন তাহলে কার্যকরী উপায়ে তথ্য নিবন্ধন করতে পারবেন এবং নির্ভুলভাবে তথ্য নিবন্ধন করতে পারলে একটা সঠিক জন্ম নিবন্ধন হাতে এসে পৌঁছবে।

তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য আবেদন করার জন্য অথবা এটার আবেদন পত্র পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার জন্য
https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংক ব্যবহার করতে বলবো। বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত যাবতীয় নাগরিক সেবা এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা গ্রহণ করতে পারছি। তাই একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা যখন নতুন তথ্য নিবন্ধন করবেন তখন অবশ্যই উপরের উল্লেখিত লিংক ব্যবহার করবেন এবং অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। তথ্য নিবন্ধন করার প্রথম ধাপেই আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনি আসলে কোন ঠিকানার ভিত্তিতে তথ্য নিবন্ধন করতে চাইছেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং আপনার অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা ভিত্তিতে যদি তথ্য নিবন্ধন করেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে।

আবেদন ফরম কোথায় পাবেন

যদি আপনি আপনার সুবিধা মত বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করতে চান তাহলে তা করতে পারেন এবং বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকলে কোন সমস্যা নেই। যদি বিদেশে থেকে আপনারা এই জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করতে চান তাহলে আপনারা এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। বিদেশে দূতাবাসের মাধ্যমে এই আবেদন করার জন্য আপনাদেরকে যে দেশে বসবাস করছেন সে দেশের কোড নাম্বার অথবা নির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। তবে যাই হোক প্রথম পেজের কাজ সম্পন্ন করার পরে আপনারা পরবর্তী পেজে গেলে নিবন্ধনের ব্যক্তির তথ্য ইনপুট করার জন্য বলা হবে।
bdris.gov.bd

এখানে প্রথমে আপনাদের বাংলায় নাম প্রদান করতে হবে এবং নামের অংশ দুই ভাগে ভাগ করা আছে বলে অবশ্যই আপনারা সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করবেন। তবে আবেদন ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে যেটা সবচাইতে বাধ্যতামূলক সেটা হলো যে লাল স্টার চিহ্ন প্রদান করা রয়েছে এমন সকল তথ্য আপনারা সঠিকভাবে প্রদান করবেন। তথ্যগুলো প্রদান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিকতা অবলম্বন করবেন। আপনার নাম যদি দুই অক্ষর অথবা এক অক্ষরের হয়ে থাকে তাহলে নামের প্রথম অংশ পূরণ না করে শেষ অংশ পূরণ করবেন। বাংলায় যেভাবে নামের অংশটি পূরণ করলেন ইংরেজিতেও ঠিক একই নিয়ম অনুসরণ করে পূরণ করবেন। এরপরে আপনাদেরকে জন্মতারিখ প্রদান করতে হবে। ক্যালেন্ডার এর মাধ্যমে জন্ম তারিখ প্রদান করার সুযোগ রয়েছে বলে সর্বপ্রথমে জন্ম মাসের ঘরে চলে যাবেন এবং সেখান থেকে আপনার জন্ম তারিখ এবং জন্ম সাল নির্বাচন করবেন।

আবেদন ফরম ডাউনলোডের উপায়

পিতা মাতার কততম সন্তান এটা উল্লেখ করতে হবে। আপনার পরিবারে আপনি কততম সন্তান অথবা যিনি তথ্য নিবন্ধন করছেন তিনি সঠিক তথ্যটি দিয়ে এখানে ফাঁকা ঘর পূরণ করবেন। তাছাড়া আপনার জাতীয়তা কি এবং ধর্ম কি সেটা উল্লেখ করবেন। এছাড়া আপনার জেন্ডার উল্লেখ করতে ভুল করবেন না। এভাবে এই প্রাথমিক তথ্যগুলো পূরণ করার পরে আপনারা নির্দিষ্ট একটা তথ্যের ঘর পূরণ করতে গেলেই বেশ কিছু কাগজপত্র আপনাদের সংগ্রহে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে বলবে। সেক্ষেত্রে শিশু জন্মগ্রহণকারী হয়ে থাকলে অবশ্যই তার টিকা কার্ড ব্যবহার করতে হবে অথবা সরকারি হাসপাতাল থেকে রেজিস্টার ডক্টরের থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

তাছাড়া যার জন্মনিবন্ধন তৈরি করছেন তিনি যে ঠিকানার ভিত্তিতে বসবাস করছেন সেই ঠিকানার খারিজের রশিদ অথবা খাজনা পরিশোধের রশিদ আপনাদেরকে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। তারপরে আপনারা যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে চেয়েছিলেন সেই ঠিকানার তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনাদের বিভাগ থেকে শুরু করে জেলার নাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রত্যেকটি তথ্য প্রদান করতে হবে। সেখানে হোল্ডিং নাম্বার প্রদান করার কথা বলা হয়েছে বলে আপনার যদি হোল্ডিং নাম্বার না থাকে তাহলে আপনাদের গ্রামের নাম উল্লেখ করে দিবেন। আর যদি ট্যাক্স পরিশোধ করার মাধ্যমে হোল্ডিং নাম্বার সংগ্রহ থেকে থাকে তাহলে সেটা প্রদান করবেন।

ফরম ডাউনলোডের পর করনীয়

এরপরে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনাদের পিতা মাতার তথ্য প্রদান করতে হবে। তাদের জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে হবে এবং নাম ও পেশা উল্লেখ করতে হবে। পিতা মাতার তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং আপনারা যেন কোন তথ্য ভুল না করেন এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এখন আপনাকে পরবর্তী ধাপে গেলে আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করার কথা বলা হবে। অর্থাৎ যিনি আবেদন করছেন তিনি আসলে সঠিক তথ্য প্রদান করছেন কিনা অথবা আবেদনকারী নিবন্ধনকারী ব্যক্তির সম্পর্কে কি হয় এই তথ্যটি প্রদান করতে হবে। এভাবে আপনারা কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন এবং আবেদনকারীর অবশ্যই মোবাইল নাম্বার প্রদান করবেন।

আবেদনকারীর তথ্যের ঘরে অনেক তথ্য প্রদান করার কথা বলা হয়ে থাকলেও আপনারা নির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রদান করলেই হবে। প্রথম পেজে তথ্য নিবন্ধনের সময় যে সকল কাগজপত্রের কথা বলা হয়েছিল সেগুলো নির্দিষ্ট রেজুলেশনের ভেতরে ওয়েবসাইটে নির্বাচন করতে হবে এবং আপলোড অপশন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপলোড করতে হবে। আপলোড করা শেষ হয়ে গেলে আপনারা এখান থেকে ফি আদায় অপশনটি নির্বাচন করবেন। তারপরে আপনারা আবেদন পত্রের সামারি দেখে নিবেন এবং এখানে যদি কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি না হয় তাহলে তা সাবমিট করে দিবেন। ফলশ্রুতিতে আপনারা এতক্ষণ যে তথ্য প্রদান করলেন তার ভিত্তিতে একটা আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল আকারে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে এবং সেটা ডাউনলোড করে নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে জমা

bdris.gov.bd