জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন খুব সহজে করবেন যেভাবে

জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন খুব সহজে করবেন যেভাবে

ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন করা যাচ্ছে বলে যে কেউ এটা ভেরিফিকেশন করতে পারেন। হাতে থাকা জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং অনলাইনে তথ্যের মধ্যে কতটা মিল রয়েছে তা যাচাই করে নেওয়াটা প্রত্যেকটি সুনাগরিকের দায়িত্ব। যেহেতু আমাদেরকে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে যেতে হচ্ছে না এবং তাদের কাছে গিয়ে এই তথ্যগুলো যাচাই করার প্রয়োজন পড়ছে না সেহেতু আমরা আমাদের নিজেদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে অবশ্যই তথ্য ভেরিফিকেশন করে নিব।

কারণ অনলাইনের মাধ্যমে আমরা যখন তথ্য খুঁজে পাবো তখন সেটা পরবর্তীতে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিন্ট করার আবেদন করতে পারব অথবা সংশোধনের আবেদন করতে পারব। তাছাড়া আপনার তথ্যগুলো যখন ভেরিফিকেশন করার মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যাবে তখন সেটা সকলের কাছে ভালো লাগবে। যদিও জন্ম নিবন্ধন এর তথ্য ভেরিফিকেশন করা অত্যন্ত সহজে একটা প্রক্রিয়া তারপরও আপনাদেরকে এটার গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে দেব। সেই সাথে তথ্য ভেরিফিকেশন এর নিয়ম জানিয়ে দিলে অনেকে উপকৃত হতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন

জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য ভেরিফিকেশন করার যে সকল নিয়ম রয়েছে তা যদি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি তাহলে অনেকেই সেই বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন। যদিও এটা একটা সহজ প্রক্রিয়া তারপরও সঠিক অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করতে না পারার কারণে এবং সঠিক ওয়েবসাইট ভিজিট করতে না পারার কারণে তথ্যগুলো খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই আপনার হাতে যেহেতু জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে এবং সেখানে ১৭ ডিজিটের বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার রয়েছে সেহেতু আপনি এটা চাইলেই চেক করে নিতে পারবেন। অনেকে এটাকে ডাউনলোড প্রক্রিয়ার আওতাধীন করতে চাই এবং মনে করে থাকেন এটা ডাউনলোড করতে পারলে খুব ভালো হয়। কিন্তু ওয়েবসাইট সেই ধরনের ডাউনলোড ব্যবস্থা চালু রাখেনি বলে আমরা ডাউনলোড করতে পারব না এবং এক্ষেত্রে শুধু তথ্য ভেরিফিকেশন করে দেখে নিতে পারবো।

তবে আপনারা যদি বলে থাকেন কেন ডাউনলোড করতে পারব না তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন। স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে এটা সরাসরি করা হয়ে থাকে বলে আপনাদেরকে তাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একজন করে কাউন্সিলর অথবা মেম্বার থাকেন বলে তাদের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ব্যক্তি সনাক্ত হয়ে থাকে। এতে করে আপনি নির্দিষ্ট এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন কিনা এবং আপনার পিতামাতার নাম কি সকল বিস্তারিত তথ্য জন্ম নিবন্ধন সনদে উল্লেখ থাকে এবং মেম্বার সেই স্বাক্ষর প্রদান করার মাধ্যমে নিশ্চিত করে থাকে।

জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন করার নিয়ম

তাই আপনারা যখন এটা ডাউনলোড করতে চাইবেন তখন অনলাইনের তে অথবা অনলাইন ভেরিফিকেশনে কোন ধরনের সাক্ষর দেওয়া থাকবে না বলে ডাউনলোড করার অপশন চালু রাখা হয়নি। তাছাড়া প্রত্যেকটি জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রিন্ট আউট করে স্বাক্ষর সহকারে প্রদান করার ভেতর দিয়ে ৫০ টাকা করে কর্তৃপক্ষের আয়ের একটা সুব্যবস্থা রয়েছে। এতে করে ওই কাগজের যেমন মূল্যায়ন রয়েছে তেমনি ভাবে তার টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে বলে আপনারাও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ছেলে সংরক্ষণ করবেন। তবে আসল কথা হল সেখানে স্বাক্ষর প্রদান করা নেই বলে অথবা স্বাক্ষর প্রদান করা সম্ভব নয় বলে আপনারা এটা ডাউনলোড করতে পারছেন না। তাই জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করার প্রসঙ্গে আপনারা যেহেতু এখানে ভিজিট করেছেন অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য ভেরিফিকেশন করার জন্য যারা এখানে ভিজিট করেছেন তারা বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

REGISTRATION DATE	REGISTRATION OFFICE	ISSUANCE DATE
22 SEPTEMBER 2010	UNION PARISHAD	21 SEPTEMBER 2010
DATE OF BIRTH	BIRTH REGISTRATION NUMBER	SEX
07 JULY 1988	19824519559024022	MALE
নিবন্ধনাধীন বাক্তির নাম	নুরু মিয়া	REGISTERED PERSON NAME		
মাতার নাম	মর্জিনা বেগম	MOTHER’S NAME	
মাতার জাতীয়তা	বাংলাদেশী	MOTHER’S NATIONALITY	BANGLADESHI
পিতার নাম	মনির মিয়া	FATHER’S NAME	
পিতার জাতীয়তা	বাংলাদেশী	FATHER’S NATIONALITY	BANGLADESHI

স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয় বলে আপনারা এটাকে জেনে থাকবেন অথবা এখান থেকে সহায়তা গ্রহণ করার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করবেন। যদিও অতীতে হাতে লিখে ফরম পূরণ করে দিলেই তারা জন্ম নিবন্ধন সনদ নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রদান করত, কিন্তু বর্তমান সময়ে সকল নিয়মের পরিবর্তণ এসেছে। অর্থাৎ প্রত্যেকের তথ্য প্রত্যেককে ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার পর সেটার আবেদন পত্র স্থানীয় সরকার বিভাগকে জমা দিতে হবে। তারপরে সেই জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনাদের প্রদান করা হবে এবং সেটা আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন।

তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ যখন প্রয়োজন হবে তখন অবশ্যই আপনারা সেটা গুরুত্বের সঙ্গে তথ্য নিবন্ধন করার মাধ্যমে সংগ্রহ করবেন। বর্তমান সময়ে তথ্য ভেরিফিকেশন করার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের 17 ডিজিটের নাম্বার প্রয়োজন হচ্ছে। তাই আপনাকে যখন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হলো তখন সেটা ১৭ ডিজিটের প্রদান করা হয়েছে কিনা তা আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। আর যদি ১৭ ডিজিট না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য এবং ১৭ ডিজিট পূর্ণ করে দিয়ে সহায়তা করবে। তবে যাই হোক তথ্য ভেরিফিকেশন করার সঠিক নিয়ম নিচের দিকে আলোচনা করা হলো এবং এটা আপনারা দেখে নিবেন।

জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশনের ধাপসমূহ

জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনারা অবশ্যই বার্থ সার্টিফিকেট লিখে যেমন সার্চ করতে পারবেন তেমনি লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পেজে ভিজিট করতে পারবেন। তাই নির্দিষ্ট পেজে ভিজিট করতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই
https://everify.bdris.gov.bd/ এই লিংক সংগ্রহ করে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে পেস্ট করে ওয়েবসাইটে যেতে বলবো। তাই আপনারা তথ্য ভেরিফিকেশন করার পেজে যেতে পারলে তিন ধরনের তথ্য আপনাদের থেকে চাওয়া হবে এবং প্রত্যেকটি তথ্য ইনপুট করার পর সার্চ অপশনে ক্লিক করার দিকনির্দেশনা প্রদান করা হবে। সর্বপ্রথমে আপনার বার্থ সার্টিফিকেটে যে ব্যক্তিগত পরিচিতি নম্বর রয়েছে সেটার ১৭ ডিজিটের নাম্বার প্রদান করবেন।

তারপরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই কাজগুলো করে থাকলে ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে আপনার জন্ম তারিখ নিশ্চিত করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদে যে জন্ম তারিখ দেওয়া আছে সেটাই প্রদান করতে হবে এবং অপশনের মাধ্যমে সেখানে প্রদান করার সুযোগ পাবেন বলে আপনাদের সালের তথ্য সেখানে ২০২৩ উল্লেখ থাকবে। কিন্তু আপনার জন্ম সাল যেহেতু ২০২৩ না সেহেতু আপনারা আবার এডিট অপশনে যাবেন এবং সেখানে 2023 কেটে দিয়ে সঠিক জন্ম সাল লিখবেন। তারপরে আপনাদেরকে নিচের ঘরে যেতে হবে এবং সেখানে যে গণিতের সমস্যা তৈরি করা আছে সেটা বুঝতে হবে এবং ক্যালকুলেশন করতে হবে। গণিতের সমস্যার সমাধান করে ফাঁকা ঘরে সঠিক উত্তর বসিয়ে দেবেন এবং নিচের যে সার্চ অপশন আছে সেটার উপরে ক্লিক করবেন।

প্রত্যেকটি তথ্য যদি সঠিক থেকে থাকে এবং কোন ধরনের ভুল না হয়ে থাকলে আপনাদের তথ্যের উপর নির্ভর করে সেখানে ভেরিফিকেশন করার সুযোগ প্রদান করবে। যদি স্থানীয় সরকার বিভাগ আপনাদের তথ্যগুলো নিজ দায়িত্বে লিপিবদ্ধ করে থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে অবশ্যই আপনার তথ্য অনুসন্ধান বা ভেরিফিকেশন করে পাবেন। খুব কম ক্ষেত্রে তথ্য না পাওয়া যেতে পারে এবং যদি না পাওয়া যায় তাহলে আপনারা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে বিষয়টা অবগত করলে তারা আপনাদের তথ্যগুলো সঠিকভাবে ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করে রাখবে। তাই উপরের উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আপনারা যখন তথ্য ভেরিফিকেশন করবেন তখন অরিজিনাল ডকুমেন্টস এর সঙ্গে হুবহু তথ্যের মিল পাবেন।

জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশনে কি কি তথ্য লাগে

কিন্তু অরিজিনাল ডকুমেন্টস এর সঙ্গে অনলাইনের তথ্যের পার্থক্য হল সেখানে কোন স্বাক্ষর প্রদান করা নেই। কারণ স্থানীয় সরকার বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য কর্মকর্তা পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে স্বা

ক্ষর প্রদান করা হয়নি। তাই সেখানে তথ্যগুলো শুধু আপনারা খুঁজে পাবেন বলে অরিজিনাল ডকুমেন্টস এর সঙ্গে তথ্য ভেরিফিকেশন করে যাচাই করতে পারবেন। আমরা মনে করি যে, এই পোষ্টের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত তথ্য ভেরিফিকেশন এর কাজগুলো সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। তাই আপনার যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত আরো কোন বিষয় জানার থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আপনাদের সমাধান প্রদান করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।

bdris.gov.bd