জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

আপনাদের যদি জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে অধিক পরিমাণ টাকা কেউ দাবি করে বসে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এড়িয়ে চলবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এটা যদি জেনে নিতে পারেন তাহলে কখনোই আপনাদেরকে কেউ ঠকাতে পারবেনা। সরকারি খাতায় যেটা খরচ হিসেবে ধরা হবে অথবা যে নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে সেটাই আপনারা প্রদান করার চেষ্টা করবেন।

কেউ যদি দ্রুত তথ্য সংশোধন করার কথা বলে অধিক টাকা চেয়ে থাকে তাহলে আপনারা কখনোই তা প্রদান করবেন না। কারণ এটা হাতে লিখে সংশোধন করা সম্ভব না এবং বর্তমান সময়ে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এই কাজগুলো করা হচ্ছে বলে অফিশিয়াল নিয়ম অনুযায়ী এটা প্রিন্ট আউট এর আদেশ না আসা পর্যন্ত তথ্য সংশোধন করা হবে না। তাই বেশি টাকা দিলে এটা দ্রুত সংশোধন হবে এমন ভ্রান্ত ধারণা না রেখে সঠিকভাবে অনলাইনের মাধ্যমে কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করুন। নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করার পরেই আপনাদের এই জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন হয়ে যাবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কি

সাধারণত জন্ম নিবন্ধন সনদ স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে তাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কম বেশি পরিচিত রয়েছে।যদিও অনেকের বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা অনেক দূরে হয়ে থাকে তারপরও আপনারা যদি সেখানে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করেন তাহলে তারা এই ক্ষেত্রে কোন ধরনের দুর্নীতি করার চেষ্টা করবে না। কারন জন্ম নিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একেবারে ন্যূনতম খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই অফিসিয়াল ভাবে আপনার তথ্য সংশোধন করার জন্য কেউ যে বেশি টাকা দাবি করবে বিষয়টা এমন নয়।

তবে আপনারা যখন বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেট ভিজিট করে থাকেন অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত অনেক তথ্য জানতে চান তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সেগুলো প্রদান করি। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগবে সেটার একটা বিস্তারিত ধারণা প্রদান করলে নিজেরা বুঝতে পারবেন। ফলে আপনাদের মনের ভেতরে কোন ধরনের কনফিউশন থাকবে না যে আপনার থেকে বেশি টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার কাজ বর্তমানে আর লাগছে না। যারা আগে হাতে লিখে তথ্য সংশোধন করেছেন অথবা তথ্যগত ভুল পাওয়ার কারণে এটা কর্তৃপক্ষের থেকে সংশোধন করে নিয়েছেন তাদেরকে পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন হয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কোথা থেকে করতে হবে

আপনি যদি নিজ দায়িত্বে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন না করেন তাহলে এটা পরবর্তীতে অনেক বড় ভুল হবে। কারণ বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী কোন শিশুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন সনদে একরকম তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে আরেক রকম তথ্য ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ সেটা ভর্তি নেবে না। আর সেই ভিত্তিতেই ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট প্রস্তুতের কাজগুলো করা হয়ে থাকে। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করার জন্য সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে যাতে করে সেটা পরবর্তীতেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

অর্থাৎ তথ্যগত সংশোধন না করলেই বরং ভালো হয় এবং সংশোধন করলে আপনার প্রত্যেকটা ডকুমেন্ট সংশোধন করার প্রয়োজন পড়বে। নির্দিষ্ট নাম এবং ঠিকানা থেকে শুরু করে অন্যান্য তথ্য যদি ঠিকঠাক মত থাকে তাহলে আপনারা সেটার ভিত্তিতেই সার্টিফিকেট প্রস্তুত এবং আইডি কার্ডের তথ্য নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়াও কারো যদি পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাজ করা লাগে তাহলে আপনারা সেই ভিত্তিতে কাজগুলো করতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে খুব সহজ ভাবে দৈনন্দিন জীবনে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করে আসছি বলে আপনারা তা বুঝতে পারছেন। তাই এখান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে হলে কত টাকা লাগবে সেটা অফিসিয়াল ভাবে জেনে নিতে পারলেই সবচাইতে ভালো হবে।

এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগের দুর্নীতিপরায়ণ কোন ব্যক্তি আপনাদের থেকে অধিক টাকা দাবি করার কথা মাথায় আনতে পারবেনা। কারণ আপনি যখন তথ্য সংশোধনের আবেদন ফি জানতে পারছেন তখন সেটা তাদেরকে বললেই তারা বুঝতে পারবে আসলেই আপনি এ বিষয়ে অনেক কিছু জানেন। আমরা নিয়মিতভাবে আপনাদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সালোক সংক্রান্ত কাজগুলো বা তথ্যগুলো প্রদান করে আসছে বলে আপনারা তাই করতে পারেন। আর সেই জন্য আপনাদের হয়তো জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার বিষয়গুলো অনেক সহজ হয়ে ওঠে। আজকের এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে যারা জন্মনিবন্ধন সনদের কাজগুলো করতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করছি।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের যত টাকা প্রয়োজন

যখন আপনারা তথ্য সংশোধনের ফি জানতে চাইবেন তখন বলব যে সাধারণত নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে শুধু ৫০ টাকা ফি গ্রহণ করা হবে। আর যদি জন্মতারিখ সংশোধন করতে চান অথবা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাদেরকে ১০০ টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। তবে নাম থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক সংশোধন করতে চাইলেও ১০০ টাকা এর ওপরে অধিক টাকা গ্রহণ করা হবে না। তাই এখান থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে ৫০ থেকে ১০০ টাকা প্রদান করার মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনারা চালান ফি প্রদান করতে পারেন। আর যদি ফি আদায় এই অপশন নির্বাচন করেন তাহলে সরাসরি স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে সেই টাকা প্রদান করার সুযোগ থাকছে।

এক্ষেত্রে আপনার থেকে যদি কেউ পঞ্চাশ অথবা ১০০ এর বেশি দাবি করে তাহলে আপনারা অবশ্যই তাদেরকে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেবেন। তবে অনলাইনের মাধ্যমে এই আবেদন করা যাচ্ছে বলে আপনারা যখন তথ্য সংশোধনের আবেদন করবেন তখন স্থান বিশেষে আপনাদের থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা অনলাইন চার্জ গ্রহণ করতে পারে। তবে আবেদন যেহেতু আপনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করছেন সেহেতু এটা সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ হবে না এবং সম্পূর্ণ এটা আপনার ব্যক্তিগত খরচ। আপনি চাইলে ঘরে বসে মোবাইল ফোনে প্রত্যেকটা ডকুমেন্টস রিসাইজ করে নেওয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। তবে সরকারিভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ আপনাদের থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আবেদন ফি হিসেবে গ্রহণ করবে।

দ্রুত জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের উপায়

কিন্তু এখানে যে টাকা গ্রহণ করা হচ্ছে সেটা যে গ্রহণ করার পরে আপনাদের অরিজিনাল ডকুমেন্ট সংশোধিত হওয়ার পরে প্রদান করবে এবং টাকা গ্রহণ করবে বিষয়টা এমন নয়। প্রথমে যে টাকা গ্রহণ করা হচ্ছে সেটার মাধ্যমেই তথ্য সংশোধন করার পর আপনার এই আবেদনপত্র অনুযায়ী তা প্রিন্ট আউট করে দেবেন। যদি মনে হয় আপনার থেকে বেশি টাকা দাবি করা হচ্ছে তাহলে আপনাদের এলাকায় যিনি জনপ্রতিনিধি রয়েছেন অথবা কাউন্সিলর রয়েছেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সাধারণত তারা আমাদের সরাসরি পরিচিত অথবা বাড়ির পাশের জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে এ বিষয়ে তারা কখনোই দুর্নীতি করতে পারবে না। কারণ এতে তাদেরই ব্যক্তিগত খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা নষ্ট হবে।

আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে তার একটা বিস্তারিত ধারণা প্রদান করতে পেরেছি। তাই আপনাদের কাছে যদি এ বিষয়ে আরো কোন কিছু জানার থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। তাহলে আমরা আপনাদেরকে সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করতে পারব এবং আপনারাও আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন। তথ্য সংশোধন করার সময় কোথাও যদি আটকে যান অথবা তথ্য সংশোধন করার সকল নিয়ম অনুসরণ করার পরেও যদি তথ্য সংশোধন না হয় তাহলে কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে তা আমাদেরকে জানাতে পারেন। তাহলে সেই অনুযায়ী আপনাদেরকে আমরা সমাধান প্রদান করার চেষ্টা

bdris.gov.bd