অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা ২০২৩

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা ২০২৩

অনলাইনের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রত্যেকটা কাজ করা যাচ্ছে বলে আমরা চাইলেই অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আবেদন সংক্রান্ত ফি প্রদান করতে পারি। তবে জন্ম নিবন্ধন অথবা মৃত্যু নিবন্ধনের একেক রকম আবেদনে একেক রকম ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আমরা অবশ্যই প্রত্যেকটা ধাপ মেনে চলবো এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি প্রদান করব।

তাই অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা হতে পারে এবং নতুন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কত টাকা ও অন্যান্য আবেদনের ক্ষেত্রে কত টাকা তা আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং কেউ আপনাদের থেকে বেশি টাকা দাবি করলে কাউকে অধিক টাকা দেবেন না। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন খরচ বাদ দিয়ে অফিশিয়াল ভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে অথবা চালান ফর্ম এর মাধ্যমে এই টাকা যদি প্রদান করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট প্রদান করতে হবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফি দেওয়ার নিয়ম

বর্তমানে কোন ব্যক্তির যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা আমরা সর্বপ্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য নিবন্ধন করে থাকি। হাতে লিখে ফরম পূরণ করার আর কোন দিন নেই এবং আমরা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে তথ্যগুলো যখন নিজ দায়িত্বে নিবন্ধন করছি তখন প্রত্যেকটি তথ্যের সঠিকতা যাচাই করেই সেটা নিবন্ধন করছি। তাই নিজ ব্যক্তি নিজ দায়িত্বে যখন এই জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য নিবন্ধন করবেন তখন অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে করবেন যাতে ভবিষ্যতে তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন না হয়। জন্ম নিবন্ধন সনদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের আবেদন সিস্টেম চালু রেখেছে এবং আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন আবেদন করতে পারি।

তবে যুক্তিসঙ্গতভাবে এবং কার্যকরী ও উপায়ে প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমাদেরকে অনলাইন সার্ভিসের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে। কারণ যে কোন ধরনের আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করার বিষয় রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি ঠিকমতো সাবমিট করতে না পারেন তাহলে এটা করা যাবে না এবং আপনারাও আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদের নতুন নিবন্ধন থেকে শুরু করে তথ্য সংশোধনের আবেদন এবং রি প্রিন্ট করার আবেদন আমরা নিয়মিতভাবে আলোচনা করছি।তাই অহেতুক কোন তথ্য নিবন্ধন করে সেটার আবেদন নষ্ট না করে আপনারা যদি সঠিকভাবে প্রত্যেকটি তথ্য অনুসরণ করতে চান তাহলে আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন টপিকে প্রদান করা পোস্ট দেখতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন ফি এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে। যারা নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে চাচ্ছেন এবং নির্দিষ্ট কোন শিশুর ক্ষেত্রে তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের দেখতে হবে সেই শিশুর বয়স কত। জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একই রকম ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে এই তথ্য আলোচনা করলাম। তাছাড়া মৃত্যু নিবন্ধন এর ক্ষেত্রেও একই রকমের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আপনারা প্রত্যেকটি তথ্যের সঙ্গে প্রত্যেকটি তথ্যের সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে তথ্যগুলো জেনে নেবেন। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা কোন শিশুর জন্ম গ্রহণের ৪৫ দিনের ভেতরে যদি এটা নিবন্ধন করেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে আবেদন পত্র জমা দেন তাহলে কত টাকা পিতা জেনে নিন।

যত টাকা ফি দিতে হবে

কোন শিশু জন্মগ্রহণ করার অথবা কোন ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করার ৪৫ দিনের ভেতরে যদি আপনারা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে এ সংক্রান্ত আবেদন পত্র জমা দেন তাহলে তারা আপনাদেরকে সনদ প্রদান করবে। অর্থাৎ জন্ম গ্রহনের দিন থেকে ৪৫ দিনের ভেতরে আপনারা যদি এ সংক্রান্ত আবেদন করে তাদের কাছে জমা দেন তাহলে কোন ধরনের আবেদন ফিস ছাড়াই আপনাদেরকে সনদ প্রদান করবে। তাই কেউ আপনাদের থেকে এটা করে দেবো বলে যদি অধিক টাকা দাবি করে অথবা নূন্যতম অ্যামাউন্ট দাবি করে তাহলে আপনারা তা প্রদান না করে নিজ দায়িত্বে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করে রাখুন।

তবে জন্ম অথবা মৃত্যুর ৪৫ দিন পর যদি আপনারা এই আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফিস জমা দিতে হবে। অর্থাৎ জন্মের ৪৫ দিন পর থেকে যদি পাঁচ বছর পর্যন্ত সময়ের ভেতরে আবেদন করে থাকেন তাহলে জন্ম অথবা মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একই পরিমাণ আবেদন ফিস দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাদের ২৫ টাকা আবেদন ফিস প্রদান করতে হবে এবং সেই সঙ্গে ১৫ পার্সেন্ট ভ্যাট সংযুক্ত হবে। অর্থাৎ সেই হিসেবে অনুযায়ী আপনাদের থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগ টাকা দাবী করবে এবং অনেক সময় তারা হয়তো এই ক্ষুদ্র হিসাব না করে সরাসরি ৫০ টাকা দাবি করে থাকে।

তবে আপনাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে ৫০ টাকা দিয়ে কাজটি দ্রুত করে নিতে পারেন। আর যদি মনে করেন অফিসিয়াল ফি এর বাইরে বেশি টাকা প্রদান করব না তাহলে সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে এবং এক্ষেত্রে আপনি যদি ২৫ টাকার সঙ্গে ১৫ পার্সেন্ট ভ্যাট প্রদান করেন তাহলে তারা কোন ধরনের জোর করতে পারবে না। এভাবে আপনারা বুঝতে পারলেন যে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন ফি কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আপনারা যদি সেই শিশুর পাঁচ বছর বয়স অতিক্রম করে ফেলেন অথবা পাঁচ বছরের পর থেকে জীবনের যেকোনো মুহূর্তে যদি জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করেন তাহলে আপনাদের আবেদন ফিস 50 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করতে খরচ কত টাকা

তবে এই ৫০ টাকার সঙ্গে 15% ভ্যাট যুক্ত হবে। তাই আপনারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করলে প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস প্রমাণপত্র হিসেবে যেমন ওয়েব সাইটে সাবমিট করার সুযোগ পাবেন তেমনিভাবে কম খরচ এটা তৈরি করে নিতে পারবেন। নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন ফি সংক্রান্ত তথ্য আলোচনা করার পাশাপাশি এখনো আপনাদেরকে আমরা সংশোধন ফি জানিয়ে দেব। আপনারা যদি জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার জন্য নাম অথবা অন্য কোন বানান সংশোধন করতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ফি গ্রহণ করা হবে। আর যদি জন্ম তারিখ সংশোধন এবং এর সঙ্গে আরো আনুষাঙ্গিক সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাদেরকে ১০০ টাকা আবেদন ফিস প্রদান করতে হবে।

তাই আপনার জন্ম তারিখ ছাড়া যদি পিতার নাম অথবা আপনার মাতার নাম সংশোধন করতে চান অথবা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য গুলো পরিবর্তন করতে চান তাহলে তথ্য সংশোধনের ফি হিসেবে 50 টাকা এর অধিক প্রদান করবেন না। তাছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দুর্নীতি না থাকার কারণে আপনারা কোন ধরনের ঝামেলায় পড়বেন না এবং আপনাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি গ্রহণ করা হবে। আপনারা তথ্য নিবন্ধন করার জন্য যে আবেদন জমা দিয়েছেন অথবা সংশোধন করার জন্য জমা দিয়েছেন সেই আবেদনের ভিত্তিতে যখন আপনাদের অরিজিনাল ডকুমেন্টস বা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে তখন আপনাদের কোন ধরনের আবেদন ফি বা ডকুমেন্টস এর জন্য টাকা প্রদান করা লাগবে না।

তবে কেউ যদি জন্ম নিবন্ধন রিপ্রিন্ট প্রিন্ট করতে চান অথবা এটা হারিয়ে যাওয়ার কারণে আবেদন করার ফলে আপনারা আবার পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে এই ধরনের নকল সরবরাহ করতে 50 টাকা ফি প্রদান করতে হবে। তবে জন্ম নিবন্ধন সনদের এ সকল আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাদের থেকে দুই উপায়ে পেমেন্ট গ্রহণ করে থাকে। আপনাদের যদি পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে চালান প্রক্রিয়ায় এটা করতে সুবিধা হয় তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ই চালান ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এটা করতে পারবেন। আর যদি স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে সরাসরি আবেদন ফি জমা দিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা “ফি আদায়” অপশনটি নির্বাচন করবেন। আশা করছি যে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্য জেনে নিতে পেরেছেন এবং উল্লেখিত টাকার বাইরে কাউকে টাকা প্রদান করে নিজের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

bdris.gov.bd