নতুন নিয়মে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

নতুন নিয়মে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

আমরা এখনকার নিয়ম অনুযায়ী যদি জন্ম নিবন্ধন তৈরি করতে চাই তাহলে নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিডিআরআইএস অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তথ্য দিতে হবে। সেখানে যদি আমরা সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করতে পারি তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন বিবেচনা করবে। তারপরে এটা প্রিন্ট আউটের সুযোগ প্রদান করার বিষয় যদি বুঝতে পারা

যায় তাহলে কর্তৃপক্ষ প্রিন্ট আউটের সুযোগ দিলে স্থানীয় সরকার বিভাগ সেটা ডাউনলোড করে আপনাদেরকে প্রদান করবে। তবে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে যে বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে অথবা যে নিয়ম মেনে চলতে হবে সেগুলো এখানে আলোচনা করব। পরিবারে কোনো শিশু সন্তান জন্মগ্রহণ করে থাকলে অথবা যাদের জন্ম নিবন্ধন জন্য তৈরি করা হয়নি তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম অনুসরণ করে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করাটাই সবচাইতে ভালো হবে।

জন্ম নিবন্ধন এর ওয়েবসাইট

স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে আমরা সরাসরি গিয়ে এর আগে জন্ম নিবন্ধন সনদের বিষয়গুলো জানিয়ে থাকলে তারা তথ্য সংগ্রহ করতে এবং সে অনুযায়ী সেটা তৈরি করে দিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে সকলেই যাতে এই তথ্যগুলো অনলাইনের মাধ্যমে খুঁজে পেতে পারে তার জন্য যার জন্ম নিবন্ধন তাকে আবেদন করার জন্য বলা হচ্ছে। আপনি যখন নিজের কাজ নিজে করবেন তখন আপনার দায়িত্ব এখানে অনেকটাই কমে যাবে এবং আপনার কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। কোন কোন তথ্য প্রদান করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হলো।

নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনারা বার্থ সার্টিফিকেট অ্যাপ্লিকেশন লিখে সার্চ করলে যেমন ওয়েবসাইটের লিংক পেয়ে যাবেন তেমনিভাবে

https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই সেখানে পৌঁছাতে পারবেন। আবেদন করার পেইজে গিয়ে আপনাদেরকে তথ্য পূরণ করতে হবে এবং তথ্য পূরণ করার ক্ষেত্রে এখন আপনাদেরকে সে ধাপগুলো আমরা শিখিয়ে দেব। তবে আবেদন করার জন্য তিন থেকে চারটি ডকুমেন্টস আপনাদের সঙ্গে থাকা লাগবে। কারণ নিজ সংগ্রহে যদি এ ধরনের ডকুমেন্টস না থাকে তাহলে আপনারা সেটা ছাড়া আবেদন করতে পারবেন না এবং কর্তৃপক্ষ প্রমাণপত্র ছাড়া আপনাদের আবেদন পত্র দেখবেন না। তাই ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর আপনারা এটা জানতে পারবেন যে সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশু হলে তার টিকা কার্ড এবং যে স্থানে বসবাস করছে সেই স্থানের কর পরিশোধের রশিদ লাগবে।

এছাড়াও বয়স ভেদে এই কাগজপত্রের তারতম্য ঘটতে পারে। তবে আপনারা যেহেতু জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চাইছেন সেহেতু সেই সকল কাগজপত্র অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের থেকেও জেনে নিতে পারেন। তবে উপরের উল্লেখিত কাগজপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে এগুলো সংগ্রহ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আপনাদের উপরের উল্লেখিত লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে যখন নির্দিষ্ট পেজে যাবেন তখন আসলে আপনি কোন ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটা নির্বাচন করবেন। এখানে আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী বর্তমান ঠিকানার ভিত্তিতে যেমন আবেদন করতে পারবেন তেমনি ভাবে আপনাদের বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকলে যে কোন একটি গানের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদনের নিয়ম

তবে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকলেও অনেক সময় জন্মস্থানের ঠিকানা আলাদা হয়ে থাকে। জরুরী ভিত্তিতে স্থানীয় ঠিকানায় গিয়ে সেটা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না বলে আমরা জন্মস্থানের ঠিকানার উপর নির্ভর করেই এটা তৈরি করে থাকি। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের কোন ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতেছেন সেটা নির্বাচন করবেন এবং দেশের বাইরে থাকলেও সেই দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। ঠিকানা সংক্রান্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার পর পরবর্তী পেজে গেলে যার জন্ম নিবন্ধন তৈরি করবেন তার নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ বাংলায় ও ইংরেজিতে প্রদান করা লাগবে। এখানে এমন ভাবে নামের প্রথম অংশ এবং সে অংশ ব্যবহার করবেন যাতে ভবিষ্যতে সেটা সংশোধনের প্রয়োজন না পড়ে।
bdris.gov.bd


তারপরে যার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করছেন তার জন্ম তারিখ প্রদান করার সাথে সাথেই আপনাদেরকে কিছু কাগজপত্রের বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হবে। অর্থাৎ এই কাগজপত্র যদি আপনাদের সংগ্রহে থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা আবেদন কন্টিনিউ করতে পারবেন অথবা যদি না থাকে তাহলে এটা আর এগিয়ে লাভ নেই। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্যগুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে এবং প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে সেই তথ্যগুলো আপনারা যখন সাবমিট করবেন তখন সেটা অবশ্যই কাগজপত্র থাকতে হবে। তারপরে আপনি পরিবারের কততম সন্তান সেটা উল্লেখ করতে হবে এবং আপনার জেন্ডার ও ধর্মের বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।

কিভাবে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়

জন্ম নিবন্ধন সনদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনারা প্রথম পেইজে যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করতে চাইছিলেন সেই ঠিকানার তথ্য এখন আপনাদেরকে প্রদান করতে হবে। আপনাদের বিভাগের নাম থেকে শুরু করে বাসার হোল্ডিং নাম্বার পর্যন্ত এখানে প্রদান করতে হবে বলে প্রত্যেকটি লাল স্টার চিহ্ন প্রদান করা ঘরের তথ্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাসার হোল্ডিং নাম্বার যদি নাও থেকে থাকে তাহলে বাসার মালিকের নামের সঙ্গে হাউস শব্দটি জুড়ে দিলে খুব একটা সমস্যা হবে না। এভাবে আপনারা এই কাজটি শেষ করার পরে পরবর্তী পেজে গিয়ে পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার প্রদান করবেন। তাদের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি পেশা উল্লেখ করতে হবে এবং আরও যদি কোন তথ্য যাওয়া হয় সেগুলো সুনিপনভাবে পূরণ করার চেষ্টা করবেন।

এভাবে যখন আপনাদের এখানকার কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে তখন পরবর্তী পেজে গেলেই আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করতে বলবে। তবে এখানে ঠিকানা সংক্রান্ত ধাপ বরণ করার জন্য আরও একটা বিষয় রয়েছে। অর্থাৎ আপনাদের সুবিধার্থে যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করেছেন সেই ঠিকানা প্রদান করার পরেও স্থায়ী ঠিকানা অথবা বর্তমান ঠিকানা হিসেবে একটা ঠিকানা প্রদান করতে হবে। তাহলে আপনারা এর আগে যে ফরমেটে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেছেন সেই একই ফরমেটে সেগুলো পূরণ করে পরবর্তী ধাপে চলে যান। যার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করছেন তার বয়স অনুযায়ী আবেদনকারী নিজেও হতে পারেন অথবা অভিভাবক হিসেবে পিতা-মাতাই দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে

তাই আবেদনকারীর তথ্যের জায়গায় তার নাম উল্লেখ করতে হবে এবং মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে। আবেদনকারীর তথ্যে অবশ্যই তার সঙ্গে এই জন্ম নিবন্ধনকারী ব্যক্তির সম্পর্ক কি সেটা অপশনের মাধ্যমে নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে। এটা নির্বাচন করে দেওয়ার পর আপনারা পরবর্তীতে হবে যাবেন এবং আপনার যে প্রমাণপত্র প্রথম পেজের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেগুলো অপশনের মাধ্যমে আগে নির্বাচন করে নিতে হবে। ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস যেন 200 KB উপরে না হয় সে বিষয়টি আপনাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। তারপরে সেই কাগজপত্র সাবমিট করে দেওয়ার পরে নিচের দিকে ফি আদায় অপশনটি নির্বাচন করে এটা দেখে নিবেন কোথাও কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি আছে কিনা।

যদি কোথাও কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি না থেকে থাকে তাহলে আবেদনপত্র সাবমিট করে দিলে এটা সফলভাবে সাবমিট হবে। সেই সাথে আপনাদেরকে একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করা হবে যা আপনারা নিজেদের ডায়েরিতে সংরক্ষণ করে রেখে দিবেন। যে সকল কাগজপত্র ওয়েবসাইটে সাবমিট করেছেন সেই সকল কাগজপত্রের অনুলিপি এবং আবেদনপত্রের পিডিএফ ফাইল প্রিন্ট আউট করে নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলে তারা আপনাদের আবেদন বিবেচনা করবে এবং ওয়েবসাইটে অফিশিয়াল লগইন এর মাধ্যমে যদি এটা ডাউনলোডের উপযোগী হয়ে থাকে তাহলে ডাউনলোড করে দিয়ে দিবে। অবশ্যই অরিজিনাল ডকুমেন্টস এ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ধন্যবাদ।

bdris.gov.bd