জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন সনদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সংগ্রহে না থাকার কারণে অথবা হারিয়ে ফেলার কারণে যারা জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই পোষ্ট করা হলো। এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়। তাছাড়া যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেছে অথবা ১৭ ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার যারা সংগ্রহ করতে পারছেন না

তাদেরকে সঠিক পদ্ধতি শিখিয়ে দিলে আপনারাও এই কাজগুলো করার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই কারো জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে থাকলে এবং আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা পোষ্টের মাধ্যমে তথ্যগুলো জানতে না পারলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। তাহলে আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য সরবরাহ করব এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত অনেক বিষয় জেনে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই কিভাবে করবেন

অতীতে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে সরাসরি জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকলেও বর্তমান সময়ে এগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকছে এবং অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। তাই আপনাকে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে সরাসরি জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করার সুযোগ প্রদান না করা হলো অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন পত্র নিয়ে তাদের কাছে জমা দিতে হবে। সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিবারের কোনো সদস্য জন্মগ্রহণ করলে অবশ্যই তাদের টিকা কার্ড এবং অন্যান্য তথ্য নিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে দেরি করবেন না। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে আপনারা সম্পূর্ণ বিনামূল্য তৈরি করতে পারবেন বলে অবশ্যই এই সুযোগ কাজে লাগাবেন।

আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত যে তথ্যগুলো দৈনন্দিন জীবনে উপস্থাপন করে আসছে তাতে করে আপনারা তথ্য সংশোধনের আবেদন সম্পর্কে যেমন জানতে পারছেন তেমনি ভাবে নতুন তথ্য নিবন্ধনের নিয়ম জানতে পারছেন। জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত কোনো ধরনের কনফিউশন থেকে থাকলে অবশ্যই আপনারা দেরি না করে কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন এবং আমরা সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আপনাদের তথ্যগুলো প্রদান করার চেষ্টা করব। কারণ আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের পৃথিবীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নেওয়া হবে এবং বিভিন্ন ধরনের ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য নিবন্ধনের সময় এই তথ্য কাজে লাগবে। তাই এখানে তথ্যগত ভুল হয়ে থাকলে পরবর্তীতে অন্যান্য ডকুমেন্টসের তথ্যগত ভুল হবে এবং তখন আপনারা এটার সমস্যায় ভুগবেন।

জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

তাই কেউ জন্ম নিবন্ধন সনদ সম্পর্কে অবহেলা করবেন না এবং এটার ভিত্তিতে বর্তমান সময়ের প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হচ্ছে বলে এখানকার তথ্য ভুল মানে প্রতিটি ডকুমেন্টস এর তথ্যগত ভুল হবে। তাই আপনারা যখন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করবেন তখন পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার যেমন করতে হবে তেমনি ভাবে কার্ড থেকে শুরু করে একজন রেজিস্টার ডক্টরের প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করতে হবে। আর জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি হয়ে গেলে সেটা আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই করে নিবেন এবং কোথাও সেটা ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই অনুলিপি ব্যবহার করবেন।

যেহেতু এক থেকে 18 বছর বয়স পর্যন্ত একজন শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় পত্র হিসেবে এই জন্ম নিবন্ধন সনদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেহেতু আপনারা বাড়িতে অরিজিনাল ডকুমেন্টস রাখার পাশাপাশি কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশ কপি অনুলিপি রেখে দিবেন। তাহলে যে কোন প্রয়োজনে আপনারা যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক কাজে তা ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলে আপনারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পাবেন। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে যে সকল নিয়ম চালু করা হয়েছে তাতে করে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যতীত কোন কাজ করা যাচ্ছে না এবং জরুরী ভিত্তিতে বিদেশ গমন করার ক্ষেত্রেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তবে যাই হোক আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করার ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ ব্যবহার করতে চাচ্ছেন বলে এখানে আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করা হবে। কারণ ৩৬৫ দিনে এক বছর হওয়ার কারণে প্রতিদিন কোন না কোন মানুষ জন্মগ্রহণ করছে এবং একই দিনে হাজার হাজার মানুষ জন্মগ্রহণ করার কারণে শুধু জন্ম তারিখ দিয়ে এই তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিডিআরআইএস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নির্দিষ্ট ডাটাবেজ এর তথ্যের উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়ে আসতে পারে সেখানে কিছু সিস্টেম রয়েছে। তাই এই সিস্টেম আপনাদেরকে মানতে হবে এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনাদেরকে সেখানে তথ্য অনুসন্ধান করে দেখতে হবে।

প্রতিটি ধাপের তথ্য সঠিকভাবে পূরণের উপায়

এখন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার পরেও যদি কোন ভাবে সেটা নষ্ট হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যায় তাহলে আপনাদেরকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করার কথা বলব। জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য হারিয়ে গেলে অবশ্যই আপনারা সেটার কাজ করবেন এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে যাওয়ার কারণে আপনার পরিবারের কোনো জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে দেখা করবেন। তাদেরকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার যদি উত্তোলন করে দিতে বলেন তাহলে অবশ্যই তারা তা করে দেবে এবং এক্ষেত্রে কোন ধরনের ফি লাগবেনা। আর যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে থাকে তাহলে তথ্য নিবন্ধন করার সময় আপনারা এই জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার ব্যবহার করেছিলেন বলে সেখান থেকেও তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে।

তবে জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার নিয়ে যদি কোন ধরনের ভেজাল না থাকে তাহলে শুধু জন্মতারিখ না দিয়ে আপনারা প্রথমে ১৭ ডিজিটের সেই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করবেন। তবে এই কাজগুলোকে করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাদেরকে https://everify.bdris.gov.bd/ এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ১৭ ডিজিটের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করার পরে আপনাদেরকে পরবর্তী ধাপে গিয়ে জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে। এখানে যে ১৭ ডিজিটের নাম্বার প্রদান করার কথা বলা হয়েছে সেটা প্রত্যেকটা ব্যক্তির আলাদা আলাদা একটা নাম্বার এবং এই নাম্বারটি বিভিন্ন তথ্যের উপর নির্ভর করে প্রদান করা হয়ে থাকে। তাহলে আপনারা তথ্যগুলো যদি বুঝতে চান তাহলে বলব যে এলাকাভিত্তিক কোড এবং ব্যক্তিগত পরিচিতি নাম্বার থেকে শুরু করে বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই 17 ডিজিটের নাম্বার প্রস্তুত করা হয়।

সর্বশেষ কথা

যদিও আমরা এটাকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ভুলে থাকতে, তারপরও এটা ব্যক্তিগত পরিচিতি নাম্বার হিসেবে কাজ করবে বলে প্রত্যেকটা ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নাম্বার সংগ্রহ করে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জন্ম নিবন্ধন সনদের এই কাজগুলো করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই সঠিকভাবে ১৭ ডিজিটের নাম্বারটি উপস্থাপন করতে হবে এবং নিচে গিয়ে ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে জন্ম তারিখ উপস্থাপন করতে হবে। যদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই তথ্য উপস্থাপন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে বর্তমান সাল কেটে দিয়ে আপনার যেটা অরিজিনাল জন্ম সাল সেটা লিখতে হবে। জন্ম সাল দিয়ে দেওয়ার পরে সেখানে জীবনীদের সমস্যা তৈরি করা আছে সেটা আপনারা ফাঁকা ঘরে সমাধান করে বসিয়ে দেওয়ার পরে সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন।

আপনাদের তথ্যগুলো যদি সঠিকভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন যদি স্থানীয় সরকার বিভাগ অনলাইন করে রাখে তাহলে খুব সহজেই তথ্য খুঁজে পাবেন। যেহেতু আপনারা জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন যাচাই করতে চাইছেন সেহেতু আপনার অরজিনাল ডকুমেন্টস এর সঙ্গে এখানে তথ্যগত প্রত্যেকটা বিষয় মিলিয়ে নেবেন। এক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি থাকবে না এবং যদি কোন ধরনের ভুল পরিলক্ষিত হয় তাহলে স্থানীয় সরকার বিষয়ে বিভাগকে বিষয়টি অবগত করলে তারা সমাধান করে দেবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের এখানে প্রদান করা হলো বলে আপনারা এগুলো নিজেরা যেমন জানতে পারলেন তেমনিভাবে শেয়ার করার মাধ্যমে অন্য কেউ জানিয়ে দিতে পারেন।

bdris.gov.bd