নাম ও জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই এই নিয়মে
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রদান করতে হয়। তবে আপনার কাছে যদি শুধু নাম এবং জন্ম তারিখ থেকে থাকে তাহলে সেটা দিয়ে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন তা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। তাই আপনাদের যদি জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা নিচের দেখানোর নিয়ম এবং তথ্যের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট সাইট ভিজিট করবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনাদের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিবেন।
আমরা মনে করি যে এই পোস্ট আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত তথ্য গুলো হুবহু অরিজিনাল ডকুমেন্টস এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন। তাছাড়া কেউ যদি সেখানকার তথ্যগুলো স্ক্রিনশট দিয়ে রাখতে চান তাহলে রাখতে পারবেন এবং যে কোন প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সেখানকার তথ্যগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা
সাধারণত যারা জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য নিবন্ধন করেছেন এমন সকল ব্যক্তিরা হাতে অরিজিনাল ডকুমেন্টস পাওয়ার পরে এটা কতটা ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত তা যাচাই করে দেখতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দীর্ঘ সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার না করার কারণে এটার প্রতি অবহেলা প্রকাশ করে থাকেন এবং কোন একটা কারণ এটা নষ্ট হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যাই। পরবর্তীতে অনুলিপি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার কোনভাবে সংগ্রহ করার পর অথবা অন্যান্য ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার পর আপনারা যদি মনে করে থাকেন অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে ব্যবহার করব তাহলে চাইলে তা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাদের কাছে যদি বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার না থেকে থাকে তাহলে হয়তো ভাবছেন যে এটা কিভাবে সম্ভব এবং কিভাবে আপনারা এটা সার্চ করে বের করবেন।
যেহেতু আমাদের কাছে আমাদের নাম এবং জন্ম তারিখ মনে আছে সেহেতু জন্ম নিবন্ধন খোঁজার ক্ষেত্রে আপনারা হয়তো এই তথ্যগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এমনভাবে সিস্টেমগুলো চালু করে রেখেছে যে প্রত্যেকটি ব্যক্তির তথ্য যাতে আলাদা আলাদা ভাবে খুঁজে পাওয়া যায় তার জন্য সকলের উদ্দেশ্যে আলাদা বাড়তি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নির্ধারণ করা হয়েছে।এক্ষেত্রে যার জন্ম নিবন্ধন সনদ তার জন্ম সাল এবং এলাকাভিত্তিক কোড এবং ব্যক্তিগত পরিচিতি নং প্রদান করার মাধ্যমে 17 ডিজিট এর একটা নাম্বার তৈরি করা হয়েছে। তাই এই নাম্বারের ভিত্তিতে যেকোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব বলে আপনারা এই নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।
তাই আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টের শুরুতেই আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য নাম দিয়ে এবং শুধু জন্ম তারিখ দিয়ে খুঁজে পাবেন না। কারণ একই নামে সারা বাংলাদেশে অনেক মানুষ বাস করছেন এবং এই ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির তথ্য প্রদর্শন করা হবে বলে এভাবে যদি ডাটাবেজে তথ্যগুলো সাজিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে খুবই সমস্যা হবে। তাই বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যতীত এটা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় বলে আপনারা অবশ্যই সেটা যত্ন সহকারে ব্যবহার করবেন এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের অরিজিনাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করার পরিবর্তে শুধু অনুলিপি ব্যবহার করবেন।
জন্মতারিখ ও নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই
জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছে বলে আপনারা হয়তো জানতে চাইছেন নাম দিয়ে এবং জন্ম তারিখ দিয়ে কিভাবে এটা যাচাই করে দেখব। তাই এই বিষয়ে আপনাদেরকে স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করা হলো যে এটা কখনোই সম্ভব নয় এবং আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে জন্ম তারিখ ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করা হবে। তবে এখানে সবচাইতে যে তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে খুঁজে পাবেন সেটা হল বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার। এই বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন সনদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনারা তথ্য সার্চ করতে পারবেন।
তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য যাচাই করার জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের পেজের লিংক জানেন না বলে আপনাদেরকে তা প্রদান করা হলো। তাই নামের পরিবর্তে জন্ম তারিখ এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার দিয়ে এটা যাচাই করার জন্য আপনারা অবশ্যই
https://everify.bdris.gov.bd/ এই লিংক এখান থেকে কপি করে নিবেন এবং সরাসরি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। গুগল ক্রোম ব্রাউজার এর মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারলে আপনাদের তথ্যগুলো যাচাই করার জন্য তিনটি ফাঁকা ঘর আসবে এবং তিনটি ফাঁকা করে আলাদা আলাদা তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। প্রথম ঘরে আপনাদের জন্ম সনদের নাম্বার অর্থাৎ ১৭ ডিজিটের যে নাম্বার রয়েছে সেটা প্রদান করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের ধাপসমূহ
যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার 16 ডিজিটের হয়ে থাকে অথবা ১৩ ডিজিটের হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনারা সরাসরি স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এভাবে আপনারা খুব সহজেই অন্যান্য ধাপগুলো অনুসরণ করবেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ আপনাদেরকে পুরোপুরি ভাবে 17 ডিজিট পূর্ণ করে যে নাম্বার প্রদান করবেন সেটার ব্যবহার করতে হবে। তারপরে নিচের ধাপে গিয়ে আপনাদের জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে প্রত্যেকটি তথ্য উপস্থাপন করা আছে বলে সঠিকভাবে তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদ বিষয়ক এই তথ্যগুলো আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সঠিকভাবে এখানে তথ্য উপস্থাপন করুন এবং তথ্য যাচাই করে নিন।
আপনারা যখন এই নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারলেন তখন তৃতীয় ঘরে একটা গণিতের সমস্যা তৈরি করা আছে বলে সেটার সমাধান করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেখানে যোগের সমাধান করতে হয় এবং মাঝেমধ্যে বিয়োগের সমাধান করতে হয় বলে যেটা যেভাবে দেওয়া আছে ঠিক সেভাবে সমাধান করে ফাঁকা করে সঠিক উত্তর বসিয়ে দেন। তারপরে আপনাদেরকে সার্চ অপশনে ক্লিক করতে বলা হবে এবং অরিজিনাল ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে আপনারা যদি এই তথ্যগুলো সার্চ করে দেখেন তাহলে দেখবেন যে হুবহু প্রত্যেকটি তথ্যের মিল সেখানে পাওয়া যাচ্ছে। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদের এই তথ্যগুলো যাচাই করার জন্য আমরা আপনাদের সামনে যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করলাম সেগুলো অনুসরণ করতে পারলেই সহজ ভাবে এগুলো যাচাই করতে পারবেন।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাইয়ের উপায়
তবে আপনারা নাম দিয়ে অথবা শুধু জন্ম তারিখ দিয়ে এটা সার্চ করতে চাইলে কখনোই পারবেন না। কারণ ওয়েবসাইট এমন ভাবে সিস্টেমগুলোকে পরিচালনা করছে যার মাধ্যমে তথ্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সেই সকল নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তবে কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে তথ্যগুলো একেবারেই হারিয়ে ফেলেন এবং কোনোভাবে জন্ম নিবন্ধন সন্নদের ১৭ ডিজিটের নাম্বার সংগ্রহ করার কোন ব্যবস্থা না থাকে তাহলে আপনারা আপনাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে চলে যাবেন। আর সেখানে যেতে পারলেই এবং তাদেরকে এ বিষয়ে সম্পর্কে অবগত করতে পারলেই তারা আপনাদেরকে তা জানিয়ে দেবে এবং খুব সহজে আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত তথ্যের আপডেট পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া উপরের উল্লেখিত ওয়েবসাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা জন্ম নিবন্ধনের নতুন তথ্যের আবেদন যেমন করতে পারবেন তেমনিভাবে আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করার সেখানে সুযোগ রয়েছে। সাধারণ জনগণ হিসেবে জন্ম নিবন্ধন এর যে সকল সেবা আমরা পেতে চাই অথবা যে সকল সমস্যার সমাধান করতে চাই তার প্রত্যেকটা বিষয়ে সেখানে উপস্থাপন করা আছে। তাই দৈনন্দিন জীবনে জন্ম নিবন্ধন সনদের গুরুত্ব অপরিসীম হওয়ার কারণে অবশ্যই আমাদেরকে এটা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে হবে এবং তৈরি করার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার মাধ্যমে তৈরি করে নিতে হবে। অরিজিনাল ডকুমেন্ট সাথে পাওয়ার পর এটা রক্ষণাবেক্ষণ করার ক্ষেত্রেও আমরা যদি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি তাহলে কোন সমস্যা হবে না।