জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে ২০২৩

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে ২০২৩

যারা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনের মাধ্যমে তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের সর্ব প্রথমে জেনে নিতে হবে এটা তৈরি করতে হলে কোন কোন কাগজপত্র ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হবে। তাছাড়া ওয়েবসাইটে সাবমিট করার পাশাপাশি একই কাগজপত্র আপনারা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জমা দিবেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি কাগজ লাগে তা যদি জানিয়ে দিতে পারি তাহলে আবেদন করার পূর্বেই আপনারা এগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন।

কারণ আবেদন করার সময় এগুলো সংগ্রহ করাটা অনেকটাই টাফ হয়ে থাকে। তাই সচেতনতার ভূমিকা পালন করার উদ্দেশ্যে আপনারা যখন জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন করবেন তখন অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে আবেদন করার প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে হবে। সর্বসাধারণের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এ বিশেষ ব্যবস্থা অথবা বিশেষ তথ্য গুলো জানিয়ে দেওয়া হলো।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে কিভাবে করে

বাস্তবিক জীবনে জন্ম নিবন্ধন আমাদের প্রয়োজনীয়তা কতটা যে অপরিসীম তা আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলেই বুঝতে পারি। পরিবারের কোনো শিশু সন্তানকে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে চান তাহলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন সনদের যে বয়স উল্লেখ রয়েছে অথবা পিতা-মাতার তথ্য থেকে শুরু করে যে ঠিকানার কথা উল্লেখ রয়েছে তার ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনারা জন্ম নিবন্ধন সনদ বিষয়ে প্রত্যেকটি তথ্য আপডেট রাখবেন এবং বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী এটা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে গেলেও আপনাদের বেশ কিছু তথ্য প্রদান করা লাগে এবং এই সকল তথ্য আপনাদেরই জন্ম নিবন্ধন সনদে আপডেট করা থাকে।

আমরা আপনাদের জন্য প্রথম দিক থেকেই জন্ম নিবন্ধন সনদ বিষয়ক দৈনন্দিন জীবনে যাবতীয় সুবিধামূলক পোস্ট করে আসছি। তাই আপনারা এখানে ভিজিট করে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছেন এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ বিষয়ে অনেক তথ্য জেনে নিতে পারছেন বলে সে অনুযায়ী অনলাইনে নির্দিষ্ট ধাপ অতিক্রম করার মাধ্যমে আবেদন করতে পারছেন। সর্বসাধারণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিডিআরআইএস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যাবতীয় আবেদন করার সুযোগ প্রদান করছে অথবা তথ্য অনুসন্ধান করে দেখে নেওয়ার বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত করছে। তাই আমরা যখন তথ্য অনুসন্ধান করবো তখন সেখান থেকে যেমন প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারব তেমনি ভাবে আমাদের তথ্য অনলাইন করা হয়েছে কিনা সেটাও অবগত হতে পারব।

জন্ম নিবন্ধন এর ধাপসমূহ

তবে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন সংক্রান্ত কাজে আপনারা যারা ডকুমেন্টস এর তথ্যগুলো জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এই পোস্ট করা হয়েছে। নতুন তথ্য নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোন কোন কাগজপত্র লাগে সেটা জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমরা আপনাদেরকে তথ্য সংশোধনের জন্য অথবা অন্যান্য আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কোন তথ্য লাগে সে বিষয়গুলো জানিয়ে দেবো। সর্বপ্রথমে আমরা তথ্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কোন কোন তথ্যগুলো কাজে লাগে সে বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনার যদি জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনলাইন থেকে দেখে নেওয়ার ইচ্ছা জাগে অথবা এটা জেনে নেওয়ার প্রয়োজন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করবেন। তবে সর্বপ্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইটের সেই নির্দিষ্ট ই ভেরিফাই পেজে যেতে হবে।

সেখানে ব্যক্তিগত পরিচিতি নাম্বার ইনপুট করার পর আপনারা নিজ দায়িত্বে জন্ম তারিখ প্রদান করবেন। তারপরে আপনারা গণিতের সমস্যার সমাধান করে সার্চ অপশনে ক্লিক করলে তথ্য অনুসন্ধান করে হুবহু অরিজিনাল ডকুমেন্টস এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখে নেওয়া যাবে। এরপরে আপনারা যদি আবেদন করে থাকেন এবং আবেদন অনুযায়ী এটার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে যাচাই করে থাকেন তাহলে সেটাও করা যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি আবেদনের ক্ষেত্রে সফলভাবে সাবমিট হওয়ার পর একটা নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন আইডি নাম্বার প্রদান করা হয়। তাই যখন নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করা হবে তখন সেটা আপনারা একটা ডাইরিতে লিখে রাখবেন অথবা যেকোন ভাবে সেটা সংরক্ষণ করে রাখবেন।

তারপরে আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করার পেইজে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনাদের সেই অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করবেন। তাছাড়া কোন ধরনের আবেদন করেছেন এটা উল্লেখ করার পাশাপাশি জন্ম তারিখ দিয়ে দেওয়ার পরে সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এছাড়া আপনারা সেখান থেকে এই তথ্যগুলো প্রদান করার ভিত্তিতে আপনার আবেদনের তথ্যগুলো গ্রহণ করা হয়েছে কিনা অথবা এটা সংশোধনের কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জেনে নিতে পারবেন। তবে আপনারা যেহেতু আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে তা জানতে এসেছেন সেহেতু আমরা আপনাদেরকে তথ্য সংশোধন করার ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো জানিয়ে দেওয়ার সর্ব প্রথমে চেষ্টা করব। সাধারণত আপনি ইচ্ছামত তথ্য সংশোধন করতে পারবেন না এবং এর পেছনে জোরালো যুক্তি ও প্রমাণপত্র সাবমিট করতে হবে।

সহজ উপায়ে জন্ম নিবন্ধন

অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন তথ্য সংশোধন করার অপশন নেই এবং আপনার বিভিন্ন কাগজপত্রের ভিত্তিতেই এটা প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করবে বলে তথ্য সংশোধন করা যাবে। সাধারণত যে ধরনের ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে সেই ভুল ভ্রান্তি অনুযায়ী আমরা যখন জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করতে চাইবো তখন সেটার জন্য আমাদেরকে মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি লাগবে। পিতা মাতার যদি তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি ব্যবহার করতে হতে পারে। এভাবে আপনারা খুব সহজেই ওয়েবসাইটে এগুলো করার মাধ্যমে তথ্য সংশোধন করে নিতে পারবেন এবং যদি না হয়ে থাকে তাহলে অন্য একটা সিস্টেম অনুসরণ করতে হবে।

অর্থাৎ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের যে উপজেলা ভিত্তিক সার্ভার স্টেশন রয়েছে সেখানে গিয়ে ২৩০ টাকা দিয়ে এনআইডি কার্ডের ভেরিফাইড কপি সংগ্রহ করতে হবে। সেটার তথ্যের ভিত্তিতে যদি আপনি তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে এটা জরুরি প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করবে এবং আপনার তথ্য সংশোধন হয়ে যাবে। এখন আমরা আপনাদের সামনে যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করব সেটা হল নতুন তথ্য নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোন কোন প্রমাণপত্র ওয়েবসাইটে সাবমিট করা লাগবে। তবে প্রত্যেকটি কাগজের নাম আপনাদেরকে ওয়েবসাইট লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং সেটা লিপিবদ্ধ করলে সাইডে যে আপলোড অপশন আসবে সেখানে আপনারা প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস ২০০ কিলোবাইটের মধ্যে আপলোড করার চেষ্টা করবেন।

যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

আপনারা যখন নিবন্ধনকারী ব্যক্তির তথ্য প্রদান করতে চান তখনই আপনাদেরকে জন্ম তারিখ তথ্য প্রদান করতে হয়। জন্ম তারিখের তথ্য প্রদান করতে গিয়ে আপনাদেরকে সেখানে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা লাগে এবং সেটার তথ্য প্রদান করতে গেলেই আপনাদের সামনে একটা নোটিশ চলে আসে। অর্থাৎ এই শিক্ষার্থী যদি বয়সে বড় হয়ে থাকে তাহলে তার জে এস সি পরীক্ষার সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। আর যদি সেটা না হয়ে থাকে এবং একদম শিশুর ক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে রেজিস্টার্ড ডক্টরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা প্রত্যয়নপত্র সাবমিট করতে হবে। এগুলো যদি না থেকে থাকে তাহলে টিকা কার্ডের অরিজিনাল কপি ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হবে।

তাছাড়া সেই শিশু অথবা সেই ব্যাক্তি যে জায়গায় বসবাস করে সেই জায়গার বসবাসরত হিসেবে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ অথবা জমি খারিজের রশিদ প্রদান করতে হবে। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের উদ্দেশ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন অথবা তথ্য নিবন্ধনের যে যে প্রমাণপত্র ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হয় সেগুলো জানিয়ে দিতে পেরেছি। তবে অভিজ্ঞ কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে আপনারা কাজগুলো করে থাকলে তারা এ বিষয়ে অনেক কিছু জেনে থাকে বলে কোন কোন কাগজপত্র লাগবে তা আপনাদেরকে মোটামুটি ভাবে জানিয়ে দেবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তথ্যগুলো বুঝতে পেরেছেন এবং এ প্রসঙ্গে যদি কারো কোন ধরনের জানার থাকে তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে

bdris.gov.bd