জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আপনার যদি অন্যান্য ডকুমেন্টস এর বয়স সংক্রান্ত ভুল থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এটা সংশোধন করে নিবেন। কারণ যে কোন কাজে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে সরকারি চাকরিতে আপনার যখন প্রবেশের সুযোগ আসবে তখন আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে শুরু করে সকল ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এ যদি বয়সের বিষয়ে ভুলভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে সেটা সংশোধন করতে হবে।

বয়স সংশোধন

কারণ এই তারিখ সংক্রান্ত তথ্যগুলো যদি মিল না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে পরবর্তীতে ভোগান্তির শিকার হতে হবে অথবা অনেক ক্ষেত্রে আপনার এই চাকরি বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সরকারি ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত সিরিয়াস একটা বিষয় হওয়ার কারণে অবশ্যই আপনারা সঠিকভাবে তথ্য সংশোধন করে নিবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদের বয়স সংশোধন করার সঠিক নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হলো।

প্রত্যেকটা মানুষের জন্ম তারিখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ যেহেতু আমাদের জন্ম তারিখের সাক্ষ্য বহন করে সেহেতু এটাতে আমাদের অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং তথ্যগত মিল থাকা লাগবে। বর্তমানে যে সকল শিশু জন্মগ্রহণ করছে তাদের প্রত্যেকের টিকা কার্ড রয়েছে অথবা জন্ম তারিখের একটা নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র রয়েছে। অথবা যেখানে জন্মগ্রহণ করেছে সেখানকার একটা ছাড়পত্র তাকে দেওয়া হচ্ছে এবং সেখানে জন্মতারিখ আছে বলে অবশ্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই জন্ম তারিখ অনুযায়ী আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধন সনদে প্রত্যেকটি তথ্য দিতে হবে এবং এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য হওয়ার কারণে কোন ক্ষেত্রে এটা ভুল করা যাবে না।

তাই আপনার জন্ম তারিখের তথ্য সংশোধন করার জন্য অথবা বয়স সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। জন্ম সাল সংক্রান্ত যদি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এটা কার্যকরী উপায়ে সমাধান করার জন্য আপনাদের আমরা একটি নির্দিষ্ট কাগজ সংগ্রহ করতে বলবো। এক্ষেত্রে আপনার যদি এনআইডি কার্ড বানানো হয়ে থাকে এবং সেখানে যদি আপনার সঠিক জন্ম সাল অথবা বয়স দেওয়া থাকে তাহলে সেটা দিয়ে আপনারা সংশোধন করতে পারবেন। তাই জন্ম তারিখ বা বয়স সংশোধন করার জন্য আপনারা উপজেলা সার্ভার স্টেশনে চলে যাবেন এবং সেখান থেকে একটা সার্টিফাইড কবে 230 টাকা দিয়ে সংগ্রহ করবেন।

বয়স সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

কারণ আপনার অরিজিনাল এনআইডি কার্ডের চাইতে সেই সার্টিফিকেট কপি অত্যন্ত কাজের বলে সেটা দিয়েই আপনার বয়স সংশোধনের প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করানো যাবে। এছাড়া আপনার মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট প্রমাণপত্র হিসেবে সাবমিট করবেন। তাই জন্ম নিবন্ধন সনদদের বয়স সংশোধন করার জন্য আমরা আপনাদেরকে
https://bdris.gov.bd/br/correction এই লিংক ব্যবহার করে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট যেতে বলব। লিংক ব্যবহার না করে আপনারা যদি লিখে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে চান তাহলে বার্থ সার্টিফিকেট কারেকশন লিখে সার্চ করবেন। তাহলে আপনারা খুব সহজেই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত অথবা বয়স সংশোধনের জন্য যে সকল নিয়ম দেওয়া আছে সেটা অবশ্যই পড়ে দেখবেন।

বয়স সংশোধনের জন্য উপরের উল্লেখিত লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে যখন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তখন আপনাকে দেখতে হবে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে কিনা। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাদের অফিসিয়াল দায়িত্বের মাধ্যমে যদি আপনার তথ্যগুলো অনলাইন করে না থাকে তাহলে সেটা খুজে পাবেন না এবং সেখান থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করা যাবে না। তাই তথ্য সংশোধন করতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে বলবো এবং আপনারা সেখানে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের যে ব্যক্তিগত পরিচিতি নাম্বার রয়েছে সেটা প্রদান করবেন। বার্থ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করার পরে জন্ম তারিখ দিতে হবে এবং সেটা প্রদান করার পরে আপনাদেরকে তথ্য সার্চ করে দেখতে হবে।

জন্ম তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন

আপনার তথ্যগুলো যদি অনলাইন করা হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই সেখানে আপনার নাম প্রদর্শন করা হবে। আর যদি তথ্যের ভিত্তিতে আপনার নাম আপনি খুঁজে পেয়ে থাকেন তাহলে সাইডে থাকা নিশ্চিত করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনারা পরবর্তী পেজে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধন করার জন্য সর্বপ্রথমে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাদের বিভাগের নাম এবং জেলার নাম এবং উপজেলার নাম সনাক্ত করতে হবে। অপশনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি তথ্য পূরণ করতে পারবেন বলে কোনো তথ্য আপনাদেরকে লিখতে হবে না। যদি বাসার হোল্ডিং নম্বর থেকে থাকে তাহলে সেটা প্রদান করবেন এবং সেটা না থেকে থাকলে অবশ্যই নিজেদের গ্রামের নাম প্রদান করবেন।

এরপরে আপনাদেরকে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার পিতা-মাতার তথ্য প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ পিতা মাতার এনআইডি কার্ডের তথ্য এবং জন্ম তারিখের তথ্য প্রদান করতে হবে। তাছাড়া পিতার তথ্যের যদি আপনাদের অন্য কিছু প্রদান করা লাগে সেটা নিয়ম অনুযায়ী করবেন। পরবর্তী পেজে গেলে আপনারা খুব সহজেই জন্ম তারিখ সংক্রান্ত অথবা বয়স সংশোধনের তথ্যগুলো প্রদান করার জন্য সঠিক বিষয় লিখে দিবেন। আপনার জন্ম তারিখ সনদের পূর্বের তথ্য কি প্রদান করা ছিল সেই তথ্যটি সর্বপ্রথমে উপস্থাপন করতে হবে এবং নতুন জন্ম তারিখ হিসেবে আপনারা কোনটা দিতে চান সেটা উপস্থাপন করবেন।

এক্ষেত্রে আপনারা যদি উল্লেখ করেন তথ্য নিবন্ধনের সময় ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তাহলে একটা কারণ দেখানো হবে এবং এই কারণের ভিত্তিতে তথ্য সংশোধন হয়ে যাবে। তাই আপনারা সঠিক তথ্য প্রদান করবেন এবং যেহেতু আপনার সংশোধনের কাজ রয়েছে সেহেতু এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়ে গেলে নিচে গিয়ে আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারী আপনি য

দি নিজে হয়ে থাকেন তাহলে আবেদনকারী সম্পর্কের জায়গায় নিজ অপশন নির্বাচন করবেন। আর আবেদনকারী যদি আপনি না হয়ে থাকেন এবং এটা যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন সম্ভব না হয়ে থাকে তাহলে সম্পর্কের জায়গায় অন্য তথ্য উপস্থাপন করবেন। এরপরে আবেদনকারীর নাম এবং মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে।

যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন

ইমেইল এড্রেস প্রদান করার কথা থাকলেও সেটা আপনারা চাইলে প্রদান করতে পারেন অথবা না করলেও কোন সমস্যা নেই। তারপরে নিচে গিয়ে আপনার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত তথ্য সংশোধনের জন্য কিছু কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং এনআইডি কার্ডের কপি নির্দিষ্ট রেজুলেশন এর ভেতরে আপলোড করতে পারেন। আপনার এই তথ্যগুলো প্রদান করার ক্ষেত্রে যদি কাজ না হয় তাহলে আপনারা ২৩০ টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট কপি যদি আপলোড করতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে কাজের হবে এবং তথ্য সংশোধন হয়ে যাবে। তারপরে আপনারা নিচে গিয়ে আবেদন ফি প্রদানের জায়গাতে অবশ্যই “ফি আদায়” অপশনটি নির্বাচন করবেন। তাহলে সরাসরি আপনাদের থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগ এই ফি প্রয়োগ গ্রহণ করবে।

বয়স সংশোধন করার জন্য আপনারা যে আবেদন করলেন সেই আবেদনের জন্য আপনাদের থেকে নিয়ম অনুযায়ী ১০০ টাকা গ্রহণ করা হবে। আপনারা যে সকল কাগজপত্র এতদিন সাবমিট করার মাধ্যমে আবেদন করলেন সেই সকল কাগজপত্রের ভিত্তিতে একটা আবেদন পত্র পিডিএফ ফাইল আকারে প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেই পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিয়ে আপনারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের হাতে দিলে তারা সেটা গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার এর জায়গায় যেটা প্রধান করেছেন সেই নাম্বারে একটা অ্যাপ্লিকেশন আইডি আসবে। অ্যাপ্লিকেশন আইডি নাম্বার দিয়ে পরবর্তীতে আপনারা আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারবেন। যদি পূর্বের তথ্য অনুযায়ী আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ খুঁজে না পান তাহলে সংশোধিত তথ্য হিসেবে যে বয়স দিয়েছেন সেটা দিয়ে সার্চ করে দেখবেন।

bdris.gov.bd